সম্প্রতি গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের পর থেকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এমন অবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা শারুন চৌধুরীর সাথে মুনিয়ার কিছু হুয়াটসএপ কথোপকথন নিয়ে চলছে বিভিন্ন রকম গুঞ্জন। তার কথোপকথনের স্ক্রিনশট নিয়েও ভাবতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে স্ক্রিনশট গুলো কত তারিখের তা জানা যায় নি। উল্লেখ্য, বিতর্কের জন্ম দেওয়া শারুন চৌধুরী চট্টগ্রাম ১২ আসনের সরকার দলীয় সাংসদ ও হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছেলে।
খুদে বার্তার ওই কথোপকথনে মোসারাত মুনিয়া শারুনকে লেখেন, তিনি ভালো নেই। এরপর লেখেন, ‘উনি তো আমাকে বিয়ে করবে না। কী করব আমি?’ জবাবে শারুন লেখেন, ‘আগেই বলেছিলাম, ওর কথা শুইনো না। ও আমার বউকে বলছে বিয়ে করবে, কিন্তু করে নাই। মাঝখানে আমার মেয়েটা মা ছাড়া হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শারুন চৌধুরী মুঠোফোনে সময় ট্রিবিউন কে জানান, "স্ক্রিনশট গুলো শতভাগ ভূয়া। ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে বসুন্ধরা গ্রুপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এগুলো করে যাচ্ছে মূল ঘটনা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য। সব স্ক্রিনশটের ডিজিটাল ফরেনসিক করা হলে প্রকৃত সত্য উঠে আসবে বলে তিনি দাবি করেন।"
এ বিষয়ে জানতে সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেছেন, পরীক্ষা–নিরীক্ষার আগে এর সত্যতা সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না।
গত ২৬ এপ্রিল গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাতের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গুলশান বিভাগের উপকমিশনার সুদীপ চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, ওই ফ্ল্যাটে বসুন্ধরার
শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের যাতায়াত ছিল। কোন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং কি কারণে মুনিয়া আত্মহত্যা করেছেন, তা তদন্ত করছে পুলিশ।
এদিকে আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেছেন, গুলশানে তরুণীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করছে পুলিশ। কারও অপরাধ থাকলে তাঁর শাস্তি হবে।
সম্প্রতি চট্টগ্রামের তরুণ ব্যবসায়ী ও ব্যাংক কর্মকর্তা মুর্শেদ চৌধুরীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। তবে শারুন ওই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। এছারাও বিভিন্ন সময় শারুন চৌধুরী নানা বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: