নকলায় টমেটো নিয়ে বিপাকে কৃষক, দাম মনপ্রতি ২০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন শতাধিক টমেটো চাষী। এমতাবস্থায় খরচ না উঠায় অনেক কৃষক ক্ষেত থেকে টমেটো তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও কেউ বাজারে নিয়ে আসছেন, তবে বিক্রি করতে না পেরে ফেলে রেখে চলে যাচ্ছেন। বিক্রেতারা বলছেন ২০ টাকা মন কিনলেও খরচ বাদে কোন লাভ থাকে না। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছেন এবছর টমেটোর উৎপাদন বেশি হওয়ায় প্রথম দিকে দাম ভালই ছিল কিন্ত শেষ দিকে দাম কমে গেছে।
জানা গেছে, এ বছর নকলা উপজেলায় টমেটোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১২০ হেক্টর জমি। কিন্তু আবাদী জমির পরিমান ৩২০ হেক্টর। প্রনোদনা পেয়েছেন ৫ শতাধিক কৃষক। নির্দিষ্ট দাম না পাওয়ায় টমেটো এখন গরু/ছাগলের খাবারে পরিণত হয়েছে। শুরুর দিকে লাভের মুখ দেখলেও মৌসুমের শেষের দিকে এসে উৎপাদন খরচ তুলতে কৃষকেরা অনেক হিমসিম খাচ্ছে । কৃষক ও ব্যবসায়ীদের কে লোকসানের হাত থেকে রক্ষা করতে আগামীতে এ অঞ্চলে সরকারিভাবে হিমাগার নির্মাণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
টমেটো চাষী এরশাদ আলী বলেন, ৫ কাঠা জমিতে এবছর আমার চমেটো চাষে খরচ হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। খরচের ১০ হাজার টাকাও এখনো তুলতে পারিনি।
গেল বাজারে টমেটো বিক্রি করতে এনে দাম পাইনি। আরো উল্টো গাড়ী ভাড়া বাবদ ৫ শত টাকা গুনতে হয়েছে। পুনরায় খরচ করে টমেটো বাড়িতে ফেরত নিতে হলে আরো ৫ শত টাকা গুনতে হবে। যার কারনে রাস্তায় ফেলে দিতে হয়েছে টমেটো।টমেটো ব্যাবসায়ী মোরাদ মিয়া ও আমিনুল ইসলাম বলেন, টমেটোর তেমন কোন চাহিদা নেই। পঁচনশীল রসালো সবজি হওয়া পাকা টমেটো ২/১দিনের বেশি রাখাও যায় না। উৎপাদন বেশি হওয়ায় বাজারে চাহিদাও কম। সস কোম্পানীগুলো টমেটো ক্রয় করতে চাচ্ছে না। ৪/৫কেজি টমেটো গরু/ছাগলে খেলেও পরে আর খেতে চায় না। গত চালানে টমেটো ঢাকা বিক্রি করতে নিয়ে আমরা নিজেরাও বিপাকে পড়েছি। নকলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ চন্দ্র দাস বলেন, প্রথম দিকে কৃষকরা টমেটোর ভালো দাম পেয়েছিল। বিশেষ করে, এই সময়ে টমেটোর দাম কম থাকে। এখন সারা বাংলাদেশে টমেটো উঠতে শুরু করেছে তাই দাম কম। তবে কৃষকরা যদি আগাম টমেটো চাষ করে তাহলে লোকসান গুনতে হবে না। তবে আগামী বছর কৃষক যাতে সরাসরি ঢাকার পাইকারদের কাছে বা সরাসরি সস কোম্পানীগুলোতে টমেটো বিক্রি করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: