শীতের ঠান্ডা আবহাওয়ায় আমাদের স্বাস্থ্য বজায় রাখা অন্যতম প্রয়োজনীয় সমস্যা হয়ে ওঠে। শীতকালে আমাদের শরীরে ইমিউনিটি বজায় রাখা এবং শরীরকে শক্তিশালী করার জন্য ডাক্তাররা নানা মৌসুমি ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই সময়ের মৌসুমি ফলের মধ্যে কমলা অন্যতম। এটি আমাদের শরীরকে শক্তিশালী করতে অন্যতম সহযোগী ভূমিকা পালন করে। শীতের মৌসুমে প্রতিদিন একটি করে কমলা খেলে অবিশ্বাস্য রকমের প্রভাব পড়ে শরীরে।
ভারতের সিগনাস লক্ষ্মী হাসপাতালের কনসালটেন্ট জেনারেল ফিজিশিয়ান ডা. সঞ্জয় কুমার এক আলাপচারিতায় বলেছেন যে, শীতকালে প্রতিদিন কমলা খেলে তা আমাদের শরীরে ভিটামিন সি-এর মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে, এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং সর্দি, ফ্লু থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, কমলা আমাদের শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সমান ভাবে কার্যকরী যা শীতকালে খুবই প্রয়োজন। কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে যা কোলাজেন উৎপাদনেও সহায়তা করে। কমলালেবুতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার এবং বিভিন্ন ভিটামিন ও খনিজ উপাদান রয়েছে যা সামগ্রিক ভাবে আমাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সহায়ক।
ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ক্যারোটিনয়েড সহ বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি, আমাদের শরীরে ফ্রি র্যাডিক্যালগুলিকে রুখতে সাহায্য করে, এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকেও সুরক্ষা প্রদান করে। কমলার এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ প্রোফাইল আমাদের শরীরে সেলুলার বাড়াতে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
অন্য দিকে, উজালা সিগনাস গ্রুপ অফ হসপিটালের ডায়েটিশিয়ান একতা সিংওয়ালের মতে, শীতকালে নিয়মিত কমলালেবু খেলে শরীর আরও ভাল ভাবে হাইড্রেটেড থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকায় এটি শরীরে সর্বোত্তম তরলের মাত্রা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
কমলালেবুতে থাকা ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খুবই উপকারী।
কমলা সাধারণত স্বাস্থ্যকর হলেও, ডক্টর কুমারের মতে, এর অত্যধিক সেবনের কারণে এতে থাকা ফাইবার হজমের সমস্যা করতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে সাইট্রাস ফল খেলে অ্যালার্জি বা কিডনির সমস্যার মতো নানা সমস্যা হতে পারে।
কমলার অম্লীয় প্রকৃতির কারণে এর জন্য দাঁতের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও কমলালেবুতে থাকা পটাসিয়ামের কারণে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সতর্ক থাকতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: