বয়স বাড়ার ছাপ ত্বকে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। তবে সারা বছর যত্ন নিলে সেই ছাপকে ঠেকিয়ে রাখা অনেকটা সহজ হয়। তবে ‘যত্ন’ বলতে কিন্তু পার্লারে যাওয়া নয়। মূলত ঘরোয়া যত্ন ও ত্বক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এক্ষেত্রে অনেক বেশি কার্যকর। পার্লারে নানা রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় বলে ত্বকের পক্ষে সেগুলো ভাল নয়।
চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার কারণ :
সাধারণত বয়স হলে ত্বকের ইলাস্টিক টিস্যু নষ্ট হয়ে যায়। যারা বেশি রোদে ঘোরাঘুরি করেন তাদের সোলার ইলাস্টোসিস কারণ ত্বকের ইলাস্টিসিটি কমিয়ে দেয়। শরীরের বিভিন্ন অংশের ত্বক বিভিন্ন রকমের। তার মধ্যে মুখের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। আর মুখের ত্বকই একমাত্র সরাসরি তার তলাকার ঐচ্ছিক মাংস পেশির সঙ্গে যুক্ত।
সাধারণত ৩০ বছর বয়সের পর থেকে ত্বকে বলি রেখার সংখ্যা বাড়তে থাকে। পরে বলি রেখা সংখ্যায় না বেড়ে গভীরতায় বাড়ে। আর সহজেই চোখে পড়ে এই রেখাগুলো। যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে তাদের চেয়ে যাদের ত্বক আর্দ্র থাকে তাদের ত্বকে বলিরেখা কম পড়ে। আদ্র ত্বকের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট হলো ত্বক আয়তনে কিছুটা বাড়ে বলে ত্বক ফুলে থাকে ও নমনীয় থাকে। আর্দ্রত্বকে নড়াচড়া, ঘষাষষি লাগলে সহজে কুচকে যায়।
বয়সের ছাপ দূর করতে ঘরোয়া পদ্ধতি:
> ডিমের কুসুমটি বাদ দিয়ে সাদা অংশটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিয়ে আপনার ত্বকে ম্যাসাজ করুন। তারপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন, শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ডিমের সাদা অংশে যে ভিটামিন বি এবং ভিটামিন ই আছে, তা আপনার ত্বকের তারুণ্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে।
> লেবুর রস মুখে লাগাতে পারেন। লেবু রসের অ্যাসিডিটি আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে এবং বলিরেখা কমিয়ে তুলতে সাহায্য করবে।
> পাকা কলাও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। তাই অফিস থেকে ফিরে অথবা বাড়ির নানা কাজের ফাঁকে, রান্না করতে করতে কিংবা টিভি দেখতে দেখতেও লাগিয়ে নিতে পারেন এই প্যাক। এর জন্য একটি পাকা কলাই যথেষ্ট। কলা পেস্ট করে ২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
> অ্যালোভেরাও একটি উপকারি উপাদান, যা ত্বকের বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের বলিরেখার ওপরে লাগিয়ে রাখুন উপকার পাবেন।
> ঘরোয়া উপায়ে প্যাক তৈরি করেও লাগাতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে ২ টেবিল চামচ কমলার রস, ১ টেবিল চামচ মধু, ৪ টেবিল চামচ বেসন দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করতে হবে। আর এই মিশ্রণ বানিয়ে সপ্তাহে অন্তত ৪-৫ বার মুখে লাগান। এটি আপনার ত্বক থেকে বলিরেখার চিহ্ন দূর করতে সাহায্য করবে।
এ ছাড়া নিয়মিত ক্লিনজিং, টোনিং ও ময়েশ্চারাইজিং-এর মাধ্যমে আপনি পাবেন স্বাস্থ্য উজ্জ্বল, কোমল, মসৃণ ত্বক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: