আজকের প্রজন্মের বহুল প্রচলিত ও চর্চিত সমস্যার মধ্যে অন্যতম হল অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়া বা অকালপক্বতা। তারুণ্য তো বটেই। কৈশোর, এমনকি, শৈশবেও চুল পেকে যাচ্ছে। একাধিক কারণে এই সমস্যা দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন হলো কি কারণে এই চুল পাকে? একাধিক কারণ দায়ী এই সমস্যার জন্য। চুল পেকে যাওয়ার কারণ চুলের গোড়ায় পিগমেন্টেশনের জন্য মেলানিনের উৎপাদন কমে যায়। ফলে কালো চুল সাদা হয়ে যায়।
কিন্তু কেন এই মেলানিনের যোগান কমে যায়? তার মূল কারণ জিনগত। পরিবারে অকালপক্বতার সমস্যা থাকলে প্রতি প্রজন্মেই এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি-১২র যোগান কমলেও চুল পেকে যেতে পারে বার্ধক্যের আগেই।
শ্বেতীর মতো অসুখও চুল পেকে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এই অসুখে মেলানোসাইটস শরীর থেকে বিদায় নেয়। এই মেলানোসাইটসের জন্যই মেলানিন উৎপন্ন হয়।
মেলানিন উৎপন্ন না হওয়ায় চুল অকালেই পেকে যায়। থাইরয়েড, অপর্যাপ্ত ঘুম, মানসিক উদ্বেগসহ একাধিক কারণ দায়ী থাকে অকালে চুল পেকে যাওয়ার পিছনে।
চুল টেনে তুলছেন? নিজের ক্ষতি নিজেই করছেন। কেননা যে বয়সেই চুল পাকুক না কেন, বলা হয় পাকা চুল হাত দিয়ে টেনে না তুলতে। তাতে নাকি আরও চুল পেকে যায়। কিন্তু সেটা ঠিক নয়।
পাকা চুল হাত দিয়ে টেনে তোলার কারণে মাথার অন্যান্য চুল পাকে না। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, আরও অন্যান্য কারণে পাকা চুল টেনে তোলা ঠিক নয়। তার প্রধান কারণ টেনে পাকা চুল তুললে সেখানে ত্বক সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত পাকা চুল চুললে সংক্রমিত ত্বকে হাইপারপিগমেন্টেশন দেখা দিতে পারে। ফলিকল নষ্ট হয়ে চুলের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। মাথার নির্দিষ্ট অমশ থেকে ক্রমাগত চুল তুলে গেলে দেখা দিতে পারে ট্রিকোটিলোম্যানিয়া। তার থেকে দীর্ঘ স্থায়ী হতে পারে চুল পড়ার সমস্যা।
হাত দিয়ে টেনে চুল তোলার প্রবণতা থাকলে মাথার কোনও কোনও অংশে স্থায়ীভাবে চুল উঠে গিয়ে টাকও পড়ে যেতে পারে। তাই পাকা চুল ট্রিম করুন কাঁচি দিয়ে কেটে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: