কুমিল্লায় দুর্গাপূজায় মন্ডপে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বিচার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
বাংলাদেশ রেজিস্ট্রেশন সার্ভিস এসোসিয়েশন আয়োজিত 'নবাগত সাব-রেজিস্ট্রারদের বরণ এবং রেজিস্ট্রেশন সার্ভিসের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন আইনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ওই ঘটনার ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ (এভিডেন্স) সাক্ষ্য হিসেবে গ্রহণ করার একটা ধারা আছে, সেই ধারায় এটা গ্রহণ করতে কোনো অসুবিধা হবে না। এই মামলার যখন পুলিশ প্রতিবেদন পাওয়া যাবে, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এর বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে যাবে। আর মামলার সাক্ষ্য হিসেবে ভিডিও ফুটেজ গ্রহণ করার একটা ধারা আছে, এটা নিয়ে কোনো অসুবিধা হবে না।
উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতে বিচারক নিয়োগ একটি চলমান প্রক্রিয়া, এটি চলতে থাকবে। বিচারক নিয়োগের নীতিমালার বিষয়ে চিন্তা করছি।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আইনমন্ত্রী বলেন, যে যেই ধর্ম পালন করুক না কেন, তাকে ধর্ম পালনের স্বাধীনতা ও তার ধর্ম রক্ষা করার অধিকার সংবিধান দেয়। বর্তমানে শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে ব্যাঘাত করার জন্য অনেক রকম ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা হচ্ছে। যারা উন্নয়নকে ব্যাহত করার চেষ্টা করছে, তাদের সমষ্টিগতভাবে রুখে দিতে হবে।
রেজিস্ট্রারদের বিভিন্ন দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো ডিপার্টমেন্ট সমস্যার ঊর্ধ্বে নয়। একটা সমস্যার সমাধান হয়, পরে আরেকটা সমস্যার উদ্ভব হয়। সমস্যা এবং সমাধান নিয়েই পথ চলতে হয়। সমস্যা আছে, সমাধানও হচ্ছে।
আনিসুল হক বলেন, সারা দেশে মামলার উৎপত্তি হয় দুটা কারণে, জমি সংক্রান্ত আরেকটা ব্যক্তিগত কারণে। মানুষের প্রাণের ধন জমি, জীবন দিয়ে হলেও সেটা মানুষ রক্ষা করতে চায়। সে অর্থে আপনারা সেটার কিছুটা হলেও রক্ষক। সেইভাবেই জনগণকে সেবা দিতে হবে।
জমির ই-রেজিস্ট্রেশন চালু প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের ই-রেজিস্ট্রেশনের পাইলট প্রকল্প চলমান আছে। আগামী ৩১ অক্টোবর সেটার রিপোর্ট পাবো, সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ই-রেজিস্ট্রেশন চালু করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: