অর্থ পাচারের মামলায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত, তাঁর ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে মামলার পলাতক ছয় আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার আদেশ দেন।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেন।
ওই আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) তাপস কুমার পাল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন আসামি সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেল, নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী ও আশিকুর ফারহান। আর পলাতক ছয়জন হলেন মোহাম্মদ বিন আলী মিনার, খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, এএইচএম ফুয়াদ, ফাহাদ বিন ওয়াজেদ, তরিকুল ইসলাম এবং কামরুল হাসান ডেভিড।
চলতি বছরের ৩ মার্চ পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বরকত ও রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেয়।
বরকত ও রুবেলের বিরুদ্ধে সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত বছরের ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবৈধ উপায়ে অর্জন ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী–২০১৫–এর ৪(২) ধারায় এ মামলা করা হয়।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের ৫ হাজার ৭০৬ বিঘা জমি ক্রোকের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৮৮টি ব্যাংক হিসাবে থাকা তাঁদের প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁদের মালিকানাধীন ৫৫টি বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িও জব্দের আদেশ দেন আদালত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: