আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটি থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর পৃথক দুই মামলায় জামিন পেয়েছেন।
রাজধানীর গুলশান থানায় দায়ের করা বিশেষ ক্ষমতা এবং পল্লবী থানার প্রতারণা মামলায় মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত জামিন মঞ্জুর করেন।
তবে গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জামিন না পাওয়ায় এখনই তার মুক্তি মিলছে না।
গত ১৭ আগস্ট পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালত হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন।
তার আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জানান, চার মামলার মধ্যে তিনটিতে জামিন পেলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। কিন্তু ডিজিটালনিরাপত্তা আইনের মামলায় তার জামিন এখনো হয়নি।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে পরিচয় দিতেন। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সংগঠনটির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সবশেষ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের হয়ে মেয়র পদে মনোনয়নপ্রার্থী ছিলেন হেলেনা। এছাড়া জয়যাত্রা গ্রুপের কর্ণধার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিজেকে আইপি টিভি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন।
২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নং রোডের ৫নং বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে (৪৯) গ্রেপ্তার করা হয়। পরে পৃথক চার মামলায় তার ১৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: