রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক সুজিত সরকারের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা থানায় অভিযোগ করেছেন নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল।
একটি আইপি টিভিতে রাবি শিক্ষকের দেয়া সাক্ষাতকারের মাধ্যমে এমপি শিমুলের সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে-এমন অভিযোগ তুলে রোববার রাত ১১টার দিকে রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসির কাছে অভিযোগটি দাখিল করেন তিনি।
বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সংসদ সদস্য শিমুল বোয়ালিয়া থানায় উপস্থিত হয়ে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অভিযোগটি যাচাই-বাছাই করার প্রয়োজন আছে। পুলিশ আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। তদন্তে সত্যতা পেলে অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হবে।
এজাহারে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল উল্লেখ করেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষক ড. সুজিত কুমার সরকার সম্প্রতি একটি আইপি টিভিতে আমাকে সন্ত্রাসী, আমার কোনো রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই, ইত্যাদি বলে সামাজিক ও রাজনৈতিক সুনাম ক্ষুণ্ন করে অপরাধ করেছেন। এ ছাড়া আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি করে আমার মানহানি করেছেন।
এদিকে গত ২৯ জুলাই প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ এনে শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপির বিরুদ্ধে বোয়ালিয়া মডেল থানায় জিডি করেছিলেন রাবি শিক্ষক সুজিত সরকার। জিডিতে অধ্যাপক সুজিত সরকার উল্লেখ করেছিলেন, তিনি ২০০৯ সালে ‘নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ’ নামক একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন। যার প্রথম ও দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় ২০১০ ও ২০২১ সালে। বইয়ের ৬০০ নম্বর পাতায় ২১ নম্বর রাজাকার তালিকায় নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাবা ‘হাসান আলী সরদার’-এর নাম রয়েছে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে এমপি শিমুলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে অপরিচিত অনেকেই তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। তবে তদন্ত শেষে গত ৬ আগস্ট অধ্যাপক সুজিতের অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় সাধারণ ডায়েরিটি থানাতেই নিম্পত্তি করা হয়।
উল্লেখ্য ড. সুজিত সরকারের বাড়ি নাটোরের সিংড়ায়। সম্প্রতি নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন কমিটি নিয়ে এমপি শিমুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক গ্রুপের বিরোধ হলে ড. সুজিত সরকারের নাটোর জেলার ইতিহাস বইটির রাজাকার অংশটি আলোচনায় উঠে আসে। এ নিয়েই ড. সরকারের সঙ্গে এমপি শিমুলের বিরোধের সূত্রপাত ঘটে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: