নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে ঘেরাও-পরবর্তী ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ঢাকার জুরাইন রেলগেট থেকে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হেফাজতে ইসলাম ও খেলাফত মজলিসের নেতা।
নারায়ণগঞ্জের র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সোনারগাঁ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি ইকবাল হোসেন (৫০), উপজেলা হেফাজতে ইসলামের আমির মহিউদ্দিন খান (৫৩), উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সেক্রেটারি মো. শাহাজাহান ওরফে শিবলী (৪৩) ও উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সহসভাপতি মো. মোয়াজ্জেম (৪৯)।
৩ এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে সোনারগাঁর একটি রিসোর্টে ঘেরাওয়ের পর ভাঙচুর-সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই সহিংসতার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ছয়টি মামলা হয়েছে। তার মধ্যে পুলিশ দুটি ও যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতারা চারটি মামলা করেন। এসব মামলায় গতকাল পর্যন্ত প্রায় ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, একটি মামলার ২ নম্বর আসামি ইকবাল। তিনি অপর একটি মামলার প্রধান আসামি। এ মামলায় শাহজাহান দ্বিতীয়, মহিউদ্দিন চতুর্থ ও মোয়াজ্জেম ষষ্ঠ নম্বর আসামি।
নারায়ণগঞ্জের র্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার চার ব্যক্তির সেদিনের ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ইকবাল যখন ফেসবুকে দেখলেন যে সমস্যা তৈরি হয়েছে, তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক জমায়েত করেন। তারপর তিনিসহ অন্যরা রিসোর্ট থেকে মামুনুলকে নিয়ে আসতে যান।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: