জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) নীতি গবেষণা পরিষদের সাবেক প্রধান ফুমিও কিশিদা দলটির নতুন নেতা নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন তিনি।
আজ বুধবার এক নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে এলডিপির নেতা হিসেবে জয় পান কিশিদা।
এলডিপির সভাপতি নির্বাচনে দলের ৩৮২ জন পার্লামেন্ট সদস্যের বাইরে সাধারণ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে আরও ৩৮২টি ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। মোট ৭৬৪টি ভোটের মধ্যে জয়ের জন্য এককভাবে কোনো প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের ভোট পেতে হয়। এমনটি না হলে প্রথম দফায় এগিয়ে থাকা শীর্ষ দুই প্রার্থীর মধ্যে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হয়। তবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে সাধারণ সদস্যদের ভোটের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৪৭টি জেলা শাখার প্রতিটির জন্য মাত্র একটি করে ভোট নির্ধারিত থাকে। ফলে দ্বিতীয় দফায় পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটের মূল্য অনেক বেশি।
এবারের এলডিপির দলীয় নেতা নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাঁদের মধ্যে সাম্প্রতিক জরিপে আরেক সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে করোনার টিকার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তারো কোনো বেশ এগিয়ে ছিলেন। আজ সকালে ভোটদান শুরু হলে প্রথম দফার ভোটে কিশিদা ও কোনোর লড়াই চলছিল প্রায় সমানে সমানে। চূড়ান্ত গণনায় কিশিদা মাত্র এক ভোটে এগিয়ে থেকে প্রথম স্থান পান। তবে প্রধান দুই প্রার্থীর কেউই ৫০ শতাংশ সমর্থন নিশ্চিত করতে পারেননি। এর জের ধরে তাঁদের মধ্যে শুরু হয় দ্বিতীয় দফার লড়াই।
নির্বাচনের প্রথম পর্বে কিশিদা ও কোনোর ভোট ছিল যথাক্রমে ২৫৬ ও ২৫৫। অন্য দুই প্রার্থী সানায়ে তাকাইচি ও সেইকো নোদার পক্ষে ভোট পড়ে ১৮৮ ও ৬৩টি। অপর দিকে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর দেখা যায়, কিশিদা তাঁর সমর্থন ধরে রাখার বাইরে পরাজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বড় অংশের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন। এতে কোনোর পক্ষের ভোট ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। চূড়ান্ত গণনায় কিশিদা পেয়েছেন ২৫৭ এবং কোনোর পক্ষে পড়েছে মাত্র ১৭৭টি ভোট।
এদিকে জাপানের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টে এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় থাকায় আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির শততম প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন ফুমিও কিশিদা। পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের বিশেষ পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন সেদিন নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। আর নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর কিশিদার সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচন
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: