দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বাংলাদেশ তিন বছরের জন্য জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য-বিষয়ক কমিশন সিএনডির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। ২০২২ সাল থেকে এই কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করবে ঢাকা।জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার জাতিসংঘের ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিলের (ইকোসক) অঙ্গসংগঠন সিএনডির তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের পাশাপাশি নির্বাচিত হয়েছে সৌদি আরব, উত্তর কোরিয়া ও ইরান।নির্বাচনে জয়লাভের পর জাতিসংঘের নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, ‘সিএনডির নির্বাচন ছিল অত্যন্ত প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বাংলাদেশ এতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে (৪৩ ভোট)। এই বিজয় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের নেতৃত্বের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আস্থার বহিঃপ্রকাশ।’
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী মাদক সমস্যার সব দিকের প্রতি বাংলাদেশ সব সময়ই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে অবৈধ মাদক ব্যবসা বন্ধে অত্যন্ত শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং এ বিষয়ে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা আরো বলেন, ‘মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করার ক্ষেত্রে কমিশনের সদস্য হিসেবে আমরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা গ্রহণ করব।’
জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য-বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজল্যুশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদর দফতর ভিয়েনায় অবস্থিত।
এ ছাড়া ইকোসকের ব্যবস্থাপনা সভায় ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডের নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়। উভয় বোর্ডে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছে। নতুন এই বোর্ড দুটি জানুয়ারি ২০২২ থেকে কার্যক্রম শুরু করবে।
বাংলাদেশ বর্তমানেও বোর্ড দুটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে। নির্বাহী বোর্ডই জাতিসংঘের গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্থা দুটির মূল পরিচালনা পর্যদ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: