জরুরি সহয়তা হিসেবে আফগানিস্তানকে ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে চীন। পাশাপাশি, দেশটিতে খাদ্য সামগ্রী ও ৩০ লাখ করোনা টিকার ডোজও পাঠাবে তারা। বুধবার আফগানিস্তানের প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের এক বৈঠকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা ও করণীয় নির্ধারণে আয়োজিত সেই অনলাইন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নিয়ে দেশটির সীমান্তবর্তী ৬ রাষ্ট্র - চীন, পাকিস্তান, ইরান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তান সরকারের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে আফগানিস্তান থেকে তড়িঘড়ি করে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা প্রত্যাহারের কঠোর সমালোচনা করে ওয়াং ই বলেন, ‘আফগানিস্তানে অভিযান শুরুর দিন থেকে সেনা প্রত্যাহার পর্যন্ত ২০ বছর ধরে সেখানে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।’
তিনি আরও বলেন, চীন আফাগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য প্রস্তুত এবং দেশটিতে বর্তমানে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, তাতে বিশ্বের অন্যান্য রাষ্ট্রেরও উচিত আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানো।
তবে আফগানিস্তানে অর্থ ও ত্রাণ সহযোগিতা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি ও বিশ্ববাসীকে আফগান জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানালেও দেশটির নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে বুধবারের বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত মঙ্গলবার তালেবানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদাকে প্রধান করে আফগানিস্তানে নতুন সরকার গঠন করেছে কট্টর ইসলামপন্থি এই গোষ্ঠী। তবে সেই সরকার এখনও বিশ্বের কোনো দেশের স্বীকৃতি পায়নি।
আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আফগানিস্তানের বর্তমান কঠিন সময়ে দেশটিকে সহযোগিতা করলেও নতুন সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়ে চীন কিছুটা রক্ষণশীল ভূমিকায় রয়েছে।
বুধবার (০৮ সেপ্টেম্বর) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনকে প্রশ্ন করেছিলেন।
তার উত্তরে ওয়েনবিন বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ তাদের দেশের সর্বস্তরের জনগণের আকাঙ্খার প্রতি সম্মান প্রদর্শণ এবং এমন একটি সরকার গঠন করবে, যা তাদের নিজেদের দেশের জনগণ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: