ভারতের লকডাউন ছিল নি:সন্দেহে বিশ্বে অন্যতম সবচেয়ে কঠোর লকডাউন। মার্চের শেষ দিকে জারি করা লকডাউন প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগে থেকে ভারত শিথিল করতে শুরু করেছে। এবং দেশটিতে কোভিড-১৯এর প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হবার পর এখন আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। একইসঙ্গে আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যাও।
গত একদিনে ভারতে সুস্থ হয়েছেন বা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৩৯ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬ হাজারের বেশি। ফলে দেশটিতে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ১২৯ জনে। গত ১৪৯ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৩৬ হাজার ৪০১ জন মানুষ। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় দেশটিতে নতুন সংক্রমিত রোগী সংখ্যা বেড়েছে এক হাজারের বেশি। সর্বশেষ এই সংখ্যাসহ মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে করোনায় আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২৩ লাখ ২২ হাজার ২৫৮ জনে।
অন্যদিকে বুধবারের তুলনায় বৃহস্পতিবারও ভারতে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছেন ৫৩০ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় গত একদিনে মৃত্যু বেড়েছে ৯০ জন। মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৪৯ জন।
এদিকে দৈনিক সুস্থতা ও সংক্রমণের ক্ষেত্রে বৃহস্পতিবারও ভারতে বজায় রয়েছে স্বাভাবিক চিত্র। অর্থাৎ সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ভাইরাসে নতুন করে সংক্রমিত রোগীর তুলনায় সুস্থ হয়েছেন বেশি মানুষ। ফলে বৃহস্পতিবার ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা আরও কমেছে।
ভারতের মোট শনাক্ত রোগীর ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বর্তমানে সক্রিয় রোগী। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর থেকে এই হার সর্বনিম্ন। এদিকে বৃহস্পতিবার ভারতে সুস্থতার হার বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সুস্থতার হার ৯৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে যা সর্বোচ্চ।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার কমে দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৯৪ শতাংশে। বুধবার এই হার ছিল ১ দশমিক ৯৬ শতাংশ। টানা ২৪ দিন ধরে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ৩ শতাংশের নিচেই রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: