চলমান আন্দোলনের মুখে পড়ে অবশেষে জনগণের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মুহিউদ্দিন ইয়াসিন।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ আগস্ট) মালয়েশিয়ার রাজা আল সুলতান আব্দুল্লাহ ইয়াং দি-পারতুয়ান আগংয়ের কাছে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে তিনি পদত্যাগপত্র পেশ করেন।
দেশটির মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য মোহদ রেদজুয়ান মোহাম্মদ ইউসুফের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদ মাধ্যম দ্য ভাইবস এ তথ্য জানিয়েছে।
করোনা মাহামরি মোকাবিলায় ব্যর্থতা, স্বেচ্ছাচারিতা, মহামারি পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পুনর্গঠনে সঠিক নির্দেশনা দিতে না পারা এবং অযৌক্তিকভাবে রাজাকে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মুহিউদ্দিন ইয়াসিনের বিরুদ্ধে। তিনি নিজের পদ ধরে রাখার ব্যাপারে সারাক্ষণ চাপে ছিলেন।
সম্প্রতি সেই চাপ আরও বেড়ে যায় তার দলের কয়েকজন আইন প্রণেতা বর্তমান ক্ষমতাসীন জোট সরকারের অন্যতম শরিক ও মালয়েশিয়ার বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড মালয়স ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনে (ইউএমএনও) যোগ দেওয়ার পর।
এদিকে এক বিবৃতিতে উমনোর সভাপতি দাতুক সেরি আহমাদ জাহিদ হামিদি জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী রেদজুয়ান মোহাম্মদ ইউসুফ ধন্যবাদ জানান। তিনি স্বীকার করেন যে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের বৈধতা তার আর নেই।
চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষে তার পদত্যাগের দাবিতে মালয়েশিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয়। এর জেরে গত ৪ আগস্ট এক টেলিভিশন ভাষণে মুহিউদ্দিন ইয়াসিন বলেন, পার্লামেন্টের সদস্যরা তাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিতে প্রস্তুত কিনা, যাচাই করতে আগামী সেপ্টেম্বরে দেওয়ান রাকাইতে আস্থা ভোট আবেদন করেন।
তারপর শুক্রবার এক পার্লামেন্ট অধিবেশনে মুহিউদ্দিন প্রথমবারের মতো স্বীকার করেন, তার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। পাশাপাশি আইন প্রণেতাদের তিনি প্রস্তাব দেন, আগামী সেপ্টেম্বরে আস্থা ভোটে তাকে সমর্থন দেওয়া হলে দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারে যেসব প্রতিশ্রুতি তিনি ইতোপূর্বে দিয়েছিলেন, সেগুলো পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: