জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে হত্যা অথবা আহত করার পরিকল্পনার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। আটক করা ব্যক্তিরা মিয়ানমারের নাগরিক। সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
নিউইয়র্কে মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় জানিয়েছে, ফিও হেইন হুত এবং ইয়ে হেইন জাউ পরিকল্পনা করেছিলেন। ভাড়া করা আততায়ীর মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত কিয়াও মোয়ে তুনের ওপর হামলা চালানো হবে, যাতে তিনি রাষ্ট্রদূতের পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমার সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর থেকে কিয়াও মোয়ে তুন সামরিক জান্তা সরকারের কড়া সমালোচনা করে আসছেন।
সামরিক জান্তা পরবর্তীকালে কিয়াও মোয়ে তুনকে বরখাস্ত করে। কিন্তু, তিনি বিশ্ব দরবারে মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রেখেছেন।
এদিকে, সর্বশেষ এই ঘটনার ব্যাপারে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।
সামরিক অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভে শত শত মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
মিয়ানমারের নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং তাঁর দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্যেরাসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
মার্কিন অ্যাটর্নির কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফিও হেইন হুত এবং ইয়ে হেইন জাউ মিলে পরিকল্পনা করছিলেন—জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করে আহত অথবা হত্যা করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে এই হামলা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘বিদেশি কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরলস চেষ্টাকে আমরা সাধুবাদ জানাই।’
চলতি বছরের শুরুর দিকে ২০ বছর বয়সী ফিও হেইন হুতের অ্যাকাউন্টে চার হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সী ইয়ে হেইন জাউ। যে অর্থ হামলার পরিকল্পনার অগ্রিম হিসাবে দেওয়ার কথা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: