ফ্রান্সের পার্লামেন্ট করোনাভাইরাস মোকাবিলার অংশ হিসেবে নিত্যদিনের চলাচলে ‘ভ্যাকসিন পাসপোর্ট’ আইন অনুমোদন করেছে।
রবিবার পার্লামেন্টের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের আইনপ্রণেতাদের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে আইনটি অনুমোদিত হয়।
এ আইনের কারণে ফ্রান্সে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। প্রায় এক লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি লোক প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়ে এই আইনের বিরোধিতা করে। এ সময়ে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত সপ্তাহে দেশটির প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁ স্বাস্থ্য পাসের বিষয়ে নির্দেশ জারি করেন। এতে বলা হয়, সিনেমা কিংবা নাইটক্লাবের মতো জায়গা যেখানে ৫০ জনের বেশি লোক জড় হবে, সেখানে এই পাস লাগবে।
এছাড়া আগস্ট থেকে বিমান ভ্রমণ ও আন্ত:ট্রেন ভ্রমণেও এ পাস বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
পাসটিতে টিকার সবগুলো ডোজ সম্পর্কে এবং করোনা নেগেটিভের তথ্য থাকবে।
ম্যাখোঁর এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে ফরাসি সরকারের করোনা মোকাবিলায় টিকাকেই প্রধান হাতিয়ার হিসেবে গণ্য করার বিষয়টি উঠে এসেছে।
তবে ভ্যাকসিন পাসপোর্ট নিয়ে পার্লামেন্টে বিতর্ক চলে। কেউ কেউ একে নাগরিক স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করেন।
রবিবার তিন ঘণ্টা ধরে উভয় কক্ষের সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলে। শেষ পর্যন্ত তারা সমঝোতায় পৌঁছালে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। পক্ষে ভোট পড়ে ১৫৬ এবং বিপক্ষে ৬০টি। ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন ১৪ জন।
তবে এটি আইনে পরিণত হতে ফ্রান্সের সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ সাংবিধানিক পরিষদের অনুমোদন লাগবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: