‘ইসরায়েলে শান্তি ফেরাতে’ যতদিন প্রয়োজন ততদিন ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা চলবে বলে হুঁশিয়ার করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর বিবিসির।
গাজায় গত ৯ দিনের অব্যাহত বিমান হামলার কারণে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি দাবি করেন, ইসরাইলি হামলায় হামাসের অপ্রত্যাশিত ক্ষতি হয়েছে।
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ‘অপ্রত্যাশিত আঘাতের’ মুখোমুখি হয়েছে দাবি করে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলি জনগণের মধ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে যতদিন প্রয়োজন হামলা চলবে।
২০১৪ সালের যুদ্ধের পর গত নয় দিনে ইসরায়েলি হামলার সবচেয়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ দেখেছে ফিলিস্তিন। দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ানো এ সংঘাতে ১০০ নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ইসরাইল জানিয়েছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে ১৫০ জনই সশস্ত্র ‘জঙ্গি’। অবশ্য হামাসের পক্ষে তাদের যোদ্ধাদের হতাহতের বিষয়ে কোনো কিছু জানানো হয়নি।
অপরদিকে ফিলিস্তিনিদের রকেটে ইসরায়েলে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার ভোরেও ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে। সকালে গাজার মধ্যাঞ্চলে একটি অ্যাপার্টমেন্ট লক্ষ্য করে ইসরাইলি বিমানের গোলায় চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সহিংসতা অবসানে কূটনৈতিক উদ্যোগের সফলতা খুবই সামান্য। অস্ত্রবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে মিসর ও জর্ডানকে সঙ্গে নিয়ে নতুন একটি খসড়া প্রস্তাব উত্থাপন করেছে ফ্রান্স।
মঙ্গলবার খুব সামান্য সময়ের জন্য গাজার সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিয়ে ত্রাণ বহনকারী গাড়িবহর প্রবেশের অনুমতি দেয় ইসরাইল। তবে নতুন করে গোলাবর্ষণ শুরু হওয়ার পর আবারও ওই ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ইসরাইলের সব নাগরিকের জন্য শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগ পর্যন্ত গাজায় সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে। গাজায় ইসরাইলি অভিযানে এখন পর্যন্ত ২২০ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে ৬৩ জন। অন্যদিকে ইসরাইলে দুই শিশুসহ ১২ জন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার ইসরাইল বলেছে, গাজায় নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৫০ জন সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। তবে হামাসের তরফ থেকে কোনো হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি। ইসরাইলের দাবি সংঘাতের শুরুতে ফিলিস্তিনের দুই স্বাধীনতাকামী গ্রুপের কাছে প্রায় ১২ হাজার রকেট কিংবা মর্টার ছিল। মঙ্গলবার পর্যন্ত ইসরাইল লক্ষ্য করে প্রায় তিন হাজার ৩০০ রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৫০ থেকে ৫০০টি গাজার অভ্যন্তরেই বিস্ফোরিত হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: