জেরুজালেমে পবিত্র মসজিদ আল-আকসায় টানা তিনদিন ধরে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইলি সেনারা। মুসল্লিদের মসজিদ থেকে বের দিতে গুলিবর্ষণ ছাড়াও টিয়ারগ্যাস এবং সাউন্ড গ্র্যানেড ছোড়া হচ্ছে।
খবর বিবিসি ও মিসলইস্ট আইয়ের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার সকালেও একদল ইসরাইলি সেনা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আল-আকসায় ঢুকে পড়ে। এসময় ফিলিস্তিনিরা তাদের বাধা দিলে তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে ইসরাইলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এতে অর্ধ শতাধিক ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
১৯৬৭ সালে জেরুজালেমের একটি অংশ দখল করে ইসরাইলিরা। এ দিবসটির স্মরণে প্রতিবছর ১০ মে জেরুজালেমে পতাকা মিছিল বের করে ইহুদিরা।
আজ সোমবার সকালেও এ পতাকা মিছিল বের করে আল-আকসা দখল করতে যায় ইহুদিবাদীরা। এ সময় ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় ইহুদিরা।
ইসরাইলি আদালতের সহযোগিতা নিয়ে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী বেশ কয়েকদিন ধরে শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবিরের ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ এবং তাদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করছে।
সেখানে নতুন একটি ইহুদি বসতি স্থাপন করার পরিকল্পনা নিয়ে এই কাজ করছে তেলআবিব। গত কয়েকদিনে ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ বসতি স্থাপনকারী ইহুদিরা ফিলিস্তিনিদের সেখান থেকে জোর করে বের কের দেয়ার চেষ্টা করে। এ নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে।
এরইমধ্যে ইসরাইলি সেনাদের সহিংস হামলায় বহু ফিলিস্তিনি আহত ও বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
শেখ জাররাহ শরণার্থী শিবির থেকে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ করার জন্য ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস আহ্বান জানিয়েছে। সংগঠনটি বলেছে, এই পরিকল্পনা বন্ধ না করলে ইসরাইলকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: