ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ করেই খারাপ হয়েছে। চিকিৎসকরা রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন। বর্তমানে ৯৬ বছর বয়সী ব্রিটিশ এই রানি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ রানির শারীরিক অবস্থার আকস্মিক অবনতির ব্যাপারে খবর দিয়েছে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম।
রানির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ইতোমধ্যে রাজপরিবারের সদস্যরা স্কটল্যান্ডের বালমোরাল ক্যাসেলের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছেন বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চিকিৎসকরা ব্রিটেনের রানির স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ায় রাজপরিবারের সদস্যরা তার পাশে থাকতে ইতোমধ্যে স্কটল্যান্ডে ছুটে যাচ্ছেন। তবে তিনি চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের দীর্ঘতম রাজত্বকারী ও বিশ্বের প্রবীণতম রানি গত বছরের শেষের দিক থেকে আকস্মিকভাবে চলাফেরার সমস্যায় ভুগছেন বলে জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস।
প্যালেসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আজ সকালে অতিরিক্ত পর্যালোচনার পর রানির চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’ রানি বর্তমানে স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে আছেন এবং তিনি বালমোরাল ক্যাসেলে রয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
রাজপ্রাসাদের কর্মকর্তারা বলেছেন, রানির বড় ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী প্রিন্স চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলা রাজপরিবারের স্কটিশ বাসভবন বালমোরাল ক্যাসেলে যাচ্ছেন। রানি বর্তমানে বালমোরাল ক্যাসেলে তার বড় ছেলে প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে অবস্থান করছেন।
গত বছরের অক্টোবরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রানি এলিজাবেথ হাসপাতালে এক রাত কাটিয়েছিলেন। এরপর থেকে ব্যস্ততা কমাতে বাধ্য হন তিনি। বুধবার চিকিৎসকদের বিশ্রামে থাকার পরামর্শ মেনে যুক্তরাজ্যের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রিদের সাথে অনলাইন বৈঠকে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকেন তিনি।
তার আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বালমোরাল ক্যাসেলে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা লিজ ট্রাসকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করেন রানি। ব্রিটেনের রানির সাথে নতুন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের সাক্ষাতের ছবি বাকিংহাম প্যালেস থেকে প্রকাশ করা হয়।
প্যালেসের একটি সূত্র বলেছে, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধিকারী রানির পতন ঘটেছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তা প্রত্যাখ্যান করে তাৎক্ষণিকভাবে পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় এলিজাবেথ ১৯৫২ সাল থেকে ব্রিটেন এবং অন্যান্য এক ডজনেরও বেশি দেশের রানি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি বছরের শুরুর দিকে সিংহাসনে আরোহণের ৭০তম বছর উদযাপন করেন তিনি।
ট্রাস বলেছেন, রানির অসুস্থতার খবরে পুরো দেশ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রানির ও তার পরিবারের জন্য আমার এবং যুক্তরাজ্যের জনগণের শুভ কামনা রয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: