ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিনের মাদক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এসেছে। সম্প্রতি বন্ধুদের সঙ্গে একটি পার্টিতে নাচগানের ভিডিও প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে মাদক পরীক্ষা করাতে বাধ্য হন তিনি। খবর আল-জাজিরার।
সোমবার ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপদেষ্টা আইডা ভালিন জানান, মারিনের প্রস্রাবের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নমুনায় কোকেন, অ্যামফেটামিনেস, গাঁজা এবং ওপিওডসের উপস্থিতি আছে কি না, তা দেখা হয়।
মারিনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘২০২২ সালের ১৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী সান্না মারিন যে পরীক্ষা করিয়েছেন, তার ফলাফলে মাদকের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।’ একজন চিকিৎসক এতে স্বাক্ষর করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে সান্না মারিন ও তাঁর বন্ধুদের একটি পার্টিতে নাচতে ও গাইতে দেখা গেছে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর বিরোধী দলগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েন মারিন। তাঁরা তাঁকে স্বেচ্ছায় মাদক পরীক্ষা করানোর জন্য আহ্বান জানান। বৃহস্পতিবার ওই ভিডিও নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মারিন বলেন, ব্যক্তিগত পার্টিতে নাচের ভিডিওটি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ায় তিনি মনঃক্ষুণ্ন হয়েছেন। এটি শুধু বন্ধুদের দেখার কথা ছিল।
৩৬ বছর বয়সী মারিন শুরু থেকেই বলে আসছেন, তিনি পার্টিতে অ্যালকোহল পান করেছেন, মাদক নেননি। পার্টিতে অংশগ্রহণকারী কাউকে তিনি মাদক নিতে দেখেননি। ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘জীবনে কখনো, এমনকি তারুণ্যেও আমি কোনো মাদক ব্যবহার করিনি।’
গত শুক্রবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের মারিন বলেন, ‘সব সন্দেহ দূর করতে আমি আজ মাদক পরীক্ষা করিয়েছি।’
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা মারিন আরও বলেছেন, পার্টিতে থাকলেও তিনি তাঁর সরকারি দায়িত্ব পালনের অঙ্গীকারের প্রতি অটুট ছিলেন। কাজের প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে পার্টি থেকে বের হয়ে আসার সক্ষমতা তাঁর ছিল।
২০১৯ সালে ৩৪ বছর বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন মারিন। পার্টি করার কারণে এবারই প্রথম সমালোচনার মুখে পড়েননি ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। সরকারি বাসভবনে পার্টি করার কারণে এর আগেও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে করোনা মহামারির ঝুঁকি জেনেও রাতভর পার্টি করায় সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: