মহানবী হযরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের প্রতিবাদে শনিবার ভারতের ঝাড়খণ্ডে পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সহিংসতায় ২ জন নিহত হয়েছেন। সেখানে আহত হয়েছেন ২০ জনের বেশি। এরমধ্যে ১০ জন পুলিশ সদস্য আছেন।
এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহানবীকে অবমাননার অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে বিক্ষোভ-সহিংসতা হয়েছে। রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর হাসপাতালে নিয়ে আসা আহত দুজন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের পর ঝাড়খণ্ডের রাজধানীর বিভিন্ন অংশে কারফিউ জারি করা হয়। বিক্ষোভকারীরা মহানবীকে (সা.) অবমাননাকারী বিজেপির বরখাস্তকৃত নেত্রী নুপুর শর্মার গ্রেপ্তার দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের সময় লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে এবং লাঠিচার্জ করে। শনিবার রাঁচির প্রধান সড়কে একদল জনতা জড়ো হয়ে নুপুর শর্মা এবং বিজেপির দিল্লি শাখার সাবেক গণমাধ্যম প্রধান নবীন জিন্দালের গ্রেপ্তার দাবিতে স্লোগান দেন। পরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এলাকায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ঝাড়খণ্ডের মতো ভারতের অন্তত ৯টি প্রদেশে গত কয়েক দিন ধরে এই ধরনের বিক্ষোভ প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়েছে। মহানবীকে অবমাননার প্রতিবাদে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিমরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন।
ঝাড়খণ্ড পুলিশের প্রধান অনশুমান কুমার গুলিতে দুজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিধিনিষেধ জারি রয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আগামীকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: