গত ২৪ ঘন্টায় খুলনায় করোনা চিকিৎসা দেওয়া চারটি হাসপাতালে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের আওতাভুক্ত করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার গণমাধ্যমকে বলেন, 'গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের তিন জনের করোনা পজিটিভ ছিল। অন্য দুই জন উপসর্গে মারা গিয়েছেন। ২০০ শয্যার এ করোনা হাসপাতালে আজ সকাল ৮টা পর্যন্ত ১২৪ জন ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে রেড জোনে ৪২ জন, ইয়ালো জোনে ৪৭ জন, এইচডিইউতে ১৫ জন ও আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন আট জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন সাত জন।
এছাড়াও খুলনা জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৮০ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৫ জন।
এছাড়া ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে আট জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিন জন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের ৪৫ শয্যার করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবস্থায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।বর্তমানে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ৩৯ জন ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চার জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। একই সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন একজন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালের ১৫০ শয্যার করোনা ইউনিটে ৭৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে আট জন ও এইচডিইউতে চার জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১১ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন আট জন।
করোনা চিকিৎসায় নতুন যোগ হওয়া খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালের ৯০ শয্যার করোনা ইউনিটে বর্তমানে ৬৭ ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে আইসিইউতে ১০ জন এবং এইচডিইউতে দুই জন রয়েছেন।গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ১০ জন ভর্তি হয়েছেন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮ জন।
এ ছাড়াও, গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩০৫ জনের এবং তাদের মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৮ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় জেলায় সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: