চলমান কঠোর লকডাউন শিথিল করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। তার মাধ্যমে সংক্রমণের হার বাড়তে পারে। শিথিল করা হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আশা করি সংক্রমণের হার নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড-১৯ আইসিইউ সম্প্রসারণ এবং ওপিডি শেড উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঈদের যে আনন্দ, সে আনন্দ মানুষ করতে পারবে না। আমরা এমনভাবে যাতে ঘোরাফেরা না করি, ঈদের আনন্দ যেন দুঃখে পরিণত না হয়ে যায়। ট্র্যাজেডিতে পরিণত না হয়ে যায়। সংক্রমিত হয়ে মানুষ মারা গেলে ঈদ আর ঈদ থাকবে না, তখন আমাদের মাতম করতে হবে।
টিকার বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়সসীমা কমিয়ে আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা ছেলে-মেয়েদের তাড়াতাড়ি স্কুল-কলেজে পাঠাতে চাই। শিক্ষকদের আমরা ভ্যাকসিন দিয়েছি এবং ১৮ বছর ও এর বেশি বয়সী ছেলে-মেয়েদের আমরা ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসবো। তাদের স্কুল-কলেজে যাওয়ার সুযোগ করে দেবো। তাদের জীবনের একটা বছর নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এটা একটা দেশের জন্য বিরাট ক্ষতি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা সুন্দরভাবে দেশ চালাচ্ছে, খাদ্যের অভাব হচ্ছে না, শিল্প কারখানা চলছে। এটা শেখ হাসিনার বিরাট সফলতা। এই সফলতা অনেকে সহ্য করতে পারে না, ঈর্ষান্বিত হয়। এই দেশে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। এই দেশের চক্রান্তকারীরা, তারা এই দেশেরই লোক— তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে। আমরা জানি সমালোচনা হবে। আমরা জানি ঈর্ষান্বিত হবে। আমরা জানি মানুষকে মিসগাইড করবে। এই বিষয়গুলো সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: