দেশের জেলা, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে বড় পরিসরে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১২ জুলাই) চীনের উৎপাদিত সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে এই কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে। রোববার নির্ধারিত সেন্টারগুলোতে টিকা পাঠানো হয়। জেলাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টিকার বরাদ্দ।এর আগে, সারা দেশের মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে গণটিকাদান শুরু হয় ১৯ জুন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক জানান, সোমবার থেকে সারা দেশে চীনের তৈরি সিনোফার্মের টিকা সিনোভ্যাকের গণটিকাদান শুরু হচ্ছে। এখন ঢাকার সাতটি কেন্দ্রে প্রবাসীদের ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রবাসীরা মঙ্গলবার থেকে ঢাকা ছাড়াও দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন থেকে মডার্নার টিকা নিতে পারবেন। ঢাকায় আসতে হবে না।দুই মাস বন্ধ থাকার পর দ্বিতীয় দফায় ৭ জুলাই টিকার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়। এ দফায় রোববার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯ লাখ ৫৫ হাজার। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন ৯০ লাখ ৫৩ হাজার ৩৮৪ জন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে দেশে গণটিকাদান শুরু হয়। কিন্তু টিকার সংকট দেখা দিলে গত ২৫ এপ্রিল সেই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়। সে সময় টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হচ্ছিল।সম্প্রতি সিনোফার্ম ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা আসার পর আবারও গণটিকাদান শুরুর ঘোষণা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশে এখন পর্যন্ত তিন ধরনের টিকা দেওয়া হচ্ছে। মডার্নার টিকাদান শুরু হলে এ সংখ্যা চারে দাঁড়াবে। এখন পর্যন্ত ১ কোটি ২ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা এসেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩৪ জনকে এ টিকা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ৩৩ জন ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৫ হাজার ২১৮ জন।
উল্লেখ্য, টিকার আওতা বাড়িয়ে ৩৫ বছর পর্যন্ত করা হয়েছে। সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে এখন ৩৫ বছর ও এর বেশি বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারছেন। টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্র পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। এটা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার যে কেন্দ্র রয়েছে, সেই কেন্দ্র থেকেই মোবাইল ফোনে এসএমএস দেওয়া হবে। এসএমএস পেলে নির্দিষ্ট দিনে, নির্দিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: