জরুরি প্রয়োজন ছাড়া হাসপাতালে এসে ভিড় না জমানোর আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
শনিবার (৩ মার্চ) অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া গণমাধ্যমকে এ আহবান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সামান্য সর্দি-জ্বর আর অন্য সাধারণ রোগ নিয়ে রোগীদের হাসপাতালে এসে ভিড় না করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সময়ে তারা যেন ফোনেই চিকিৎসা সেবা নেন।
তিনি আরও বলেন, তবে যারা একেবারেই ইমার্জেন্সি রোগী, তারা আসবেই। তাদের ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। বিশেষ করে করোনা রোগীরা যাদের ভর্তি লাগবে তাদের আসতেই হবে। তাদের ঘরে বসে থাকা যাবে না।
সার্বক্ষণিক টেলিমেডিসিন সেবা চালু থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য বাতায়ন চালু আছে। সব হাসপাতালগুলোতেই টেলিমেডিসিন সেবা চালু আছে। এই সময়ে ইমার্জেন্সি না হলে হাসপাতালে না আসাই ভালো।
ফরিদ মিয়া বলেন, ‘লকডাউন দেওয়াতে বরং ইমার্জেন্সি রোগীদের জন্য সুবিধা হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যও সুবিধা হবে। কারণ রোগীদের সঙ্গে যে কুড়িখানেক উপস্থিতি থাকে, তা কম আসবে। এতে আমাদের চিকিৎসক-নার্সদের সেবা কার্যক্রমে সুবিধা হবে।
লকডাউনে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমে কোনো প্রভাব পড়বে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, লকডাউন ঘোষণা মূলত সাধারণ মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য। তারা যেন অযথাই বাইরে ঘুরে না বেড়ায়, সেটা বন্ধ করার জন্য। এতে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম আগের মতোই চলবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: