কানের যন্ত্রণা একবার দেখা দিলে মুশকিল। তখন কোনো কাজই ঠিকভাবে মনোযোগ দিয়ে করা যায় না। পুরো দিনটিই নষ্ট হয়ে যায়। কানে ব্যথা হলে তা কেন হচ্ছে তা বোঝাও সম্ভব হয় না অনেক সময়। অনেক সময় ব্যথা দূর করার জন্য বেছে নিতে হয় পেইন কিলার। কিন্তু তাতে ব্যথা স্বল্প সময়ের জন্য থামলেও পরবর্তীতে আবার বাড়তে পারে। আর পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া তো রয়েছেই।
কানে যন্ত্রণা হওয়ার কারণ
কানে যন্ত্রণা হওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো ইনফেকশন। ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের ক্ষেত্রে শরীরে অনেক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও কিছু ভাইরাস থেকে এই কানে যন্ত্রণার সৃষ্টি হতে পারে। তবে যে কারণেই কানে যন্ত্রণা হোক না কেন চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ খাবেন না। সেইসঙ্গে কিছু ঘরোয়া উপায় বেছে নিতে পারেন কানে যন্ত্রণা দূর করার জন্য-
ঠান্ডা ও গরম সেঁক
ওয়েবমেড জানাচ্ছে, যেকোনো ব্যথা দূর করার ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী একটি উপায় হতে পারে ঠান্ডা ও গরম সেঁক। প্রথমে যেখানটাতে যন্ত্রণা হচ্ছে সেখানে ঠান্ডা সেঁক দিন। এর কিছুক্ষণ পর ওই স্থানে গরম সেঁক দিতে পারেন। এভাবে কয়েকবার করলে সেই জায়গায় রক্ত চলাচল ঠিকভাবে হবে। ফলে কমে আসবে ব্যথা। তাই কানে যন্ত্রণা কমাতে এই পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।
চুইংগাম খান
ভাবছেন, কানে যন্ত্রণার সঙ্গে চুইংগামের কী সম্পর্ক? আপনি যদি চুইংগাম নিয়ে চিবুতে থাকেন তবে কানের ভেতরে চাপ কমে আসবে। ফলে কমে আসবে কানের যন্ত্রণাও। তাই কানে হঠাৎ যন্ত্রণা হলে একটি চুইংগাম নিয়ে চিবুতে শুরু করুন। আশা করা যায়, উপকার পাবেন।
উপর দিকে মুখ করে শুয়ে পড়ুন
আপনি যখন উপর দিকে মুখ করে শুয়ে পড়বেন তাখন কানে ফ্লুইড বা তরল জমবে না। এতে কানের ভেতরে চাপ কমে আসবে। তাই কানে যন্ত্রণা হলে চেষ্টা করুন মাথা উঁচু করে শুয়ে পড়ার। এতে ব্যথা কমে আসবে অনেকটাই।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি
আমাদের কানের কাজ কেবল শ্রবণ করাই নয়, বরং এটি শরীরের ভারসাম্য রাখতেও কাজ করে। তাই কানে যদি যন্ত্রণা বা অন্য কোনো সমস্যা বাড়তেই থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
আরও কিছু লক্ষণ দেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। লক্ষণগুলো হলো- কানের ব্যথা কোনভাবেই না কমলে; কানে কম শুনলে; মাথা ঘুরলে; কান থেকে রক্ত বের হলে; কান থেকে পুঁজ বের হলে; কানে যন্ত্রণার কারণে মাথাও ব্যথা করলে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: