আত্মহত্যা নিয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সচেষ্ট আঁচল ফাউন্ডেশন

আবিদ সিদ্দিকী ইমন | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:৪০

সংগৃহীত

প্রতিদিনই পত্রিকার পাতা খুললে চোখে পড়ে আত্নহত্যার খবর। এমনি একদিন পত্রিকার পাতা উল্টাচ্ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক তরুণ শিক্ষার্থী তানসেন। ভাবতে থাকেন এমন এক সংগঠনের কথা যারা মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করবে, সেই সাথে তরুণদেরকে গড়ে তুলবে  দক্ষ জনশক্তি হিসেবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ, তিনি আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ এপ্রিল থেকে যাত্রা শুরু করেন আঁচল ফাউন্ডেশনের।

২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বেশ কিছু কাজ হাতে নিয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আত্মহত্যা সংক্রান্ত সচেতনতামূলক কর্মসূচি, মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক সেমিনার, টেল ইওর আনটোল্ড স্টোরিজ, স্পীকিং উইথ আ টিচার, আঁচল আড্ডা লাইভ টক শো। ঢাকা কেন্দ্রীক কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশভিত্তিক সচেতনতা তৈরিতেও উৎসুক ছিলেন আঁচল সদস্যরা। আয়োজন করে ফেললেন দেশের প্রথম ভার্চুয়াল জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগীতার যার প্রতিপাদ্য ছিল “আত্মহত্যা, আর নয়” । পুরো দেশ থেকে এতে অংশ নেয় প্রায় ৩২টি দল। এছাড়াও রিসার্চ এন্ড অ্যানালাইসিস ইউনিট এর আওতায় সব মিলিয়ে পাঁচটি গবেষণা প্রকাশ করা হয়।

আঁচল ফাউন্ডেশন নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “আমার সাথে আছে এক ঝাঁক অদম্য তরুণ-তরুণী, যারা বাঁধা অতিক্রম করতে জানে, জানে প্রতিকূল অবস্থাতেও নিজেদের মনোবল ধরে রাখতে। আমার এই দল আমার শক্তি, তারাই আমাকে অনুপ্রেরণা দেয় আঁচলকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে।” আঁচলের আরেক সদস্য ফারিয়া আফরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন " আঁচলের সাথে কাজ করার আগে আমার কনফিডেন্ড লেভেল ছিলো ২০%, আর এখন ৯০%। অনেক কিছু শিখেছি, বড় কথা নতুন করে ভাবতে শিখছি। কাজের দক্ষতাও অনেক বেড়েছে।"

আঁচল ফাউন্ডেশন একজনের ভাবনার প্রতিফলন হলেও আজ তা অনেকের জীবনে নিয়ে এসেছে আশার আলো।  এই আশার আলোয় যেন আরও অনেকে পথ খুঁজে পায় এটাই তাদের চাওয়া। 

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর