বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করলেও কোনোদিন নেতিবাচক কিংবা ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করেননি সালমান খান। কখনো ভেবে দেখেছেন কি?
অন্যদিকে বাকি দুই খান– শাহরুখ ও আমির খান দিব্যি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে বাহবা কুড়িয়েছেন।
শাহরুখ তো ক্যারিয়ারের শুরুতেই নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করে ফেলেছেন। ‘ডর’, ‘বাজিগর’-এর মতো ছবিতে দর্শক দেখেছেন তাকে। আমিরও তাই। কিন্তু সালমানকে কোনোদিনও তেমন চরিত্রে দেখা গেল না। পর্দায় নিজের হিরো ইমেজকেই তিনি ধরে রাখতে চেয়েছিলেন বরাবর। শাহরুখের আগে তার কাছেই গিয়েছিল ‘বাজিগর’-এর অফার। তিনি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তৎক্ষণাৎ। যদিও তার চিত্রনাট্য পছন্দ হয়েছিল। কিন্তু অজয় (শাহরুখ অভিনীত চরিত্র) চরিত্রটি তার অতিরিক্ত নেতিবাচক বলে মনে হয়েছিল।
একটি সাক্ষাৎকারে সলমনের বাবা সেলিম খান বাজিগরের পরিচালকদ্বয় আব্বাস-মাস্তানকে চিত্রনাট্যে কিছু পরিবর্তন আনতে বলেছিলেন। বলেছিলেন, অজয়ের চরিত্রের হিংস্রতাকে কমাতে। কিন্তু পরিচালকদ্বয় তা মানতে নারাজ ছিলেন। ফলে সালমানকে সরে আসতে হয় ছবি থেকে।
সেই সাক্ষাৎকারে সালমান বলেছিলেন, ‘বাজিগর’ আমার ভাল লেগেছিল। কিন্তু বড্ড বেশি নেগেটিভ মনে হয়েছিল চরিত্রটাকে। মায়ের মতো একটি নরম চরিত্র যোগ করতে বলেছিলাম আব্বাস-মাস্তানকে। তারা হেসে উঠেছিলেন। বলেছিলেন, বিষয়টা বড্ড একঘেয়ে হয়ে যাবে। যাই হোক, আমরা ছবি থেকে সরে আসি এবং শাহরুখের কাছে অফার যায়। কিন্তু পরবর্তীকালে মায়ের চরিত্রটি যোগ করা হয়েছিল বাজিগরে। সে কথা আব্বাস-মাস্তান জানিয়েছিলেন সালমানকে। আইডিয়া দেওয়ার জন্য ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তাকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: