আজ খুলেছে ঢাবি গ্রন্থাগার

সময় ট্রিবিউন | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:০২

ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থগার খুলে দেওয়ার প্রথম দিনেই কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার শিক্ষার্থীদের পদচারণা কম থাকলেও উপচে পড়া ভিড় লক্ষণীয় বিজ্ঞান গ্রন্থাগার।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয়, বিজ্ঞান গ্রন্থাগার ও বিভাগীয় সেমিনারগুলো স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য পূর্ববর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী খুলে দেওয়া হলে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়।

অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণের প্রমাণস্বরূপ টিকা কার্ড, লাইব্রেরি কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখানোর পর ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।

সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে শিক্ষার্থীদের আগমন কম ছিল। এসময় লাইনে দাড়ানো রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের এক শিক্ষার্থী বলেন, লাইব্রেরি খুলে দেওয়ায় আমরা খুশি এবং আমাদের ভালো লাগছে। এতদিন বাসায় পড়তে অসুবিধায় পরতে হয়েছিল এখন সেই সমস্যাটা সমাধান হয়ে গেছে। তবে আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আগের সময় অনুযায়ী লাইব্রেরির সময়টা ঠিক করা হয়। আমরা চাই সকাল ৮ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত। এতে করে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করতে পারবো।

অন্যদিকে নিয়ম ভেঙ্গে শিক্ষার্থীরা ১০টার আগেই ভেতরে প্রবেশ করেন বিজ্ঞান গ্রন্থাগার। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এলে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ প্রক্টরের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা সময়সীমা আগের মতো করার দাবি জানান। শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সময়সীমা পুনরায় বিবেচনা করা হবে বলে জানান রব্বানী। এছাড়াও গ্রন্থাগারের বাইরে থাকা টেবিল চেয়ার দ্রুত না সরানোর আবেদনও জানান শিক্ষার্থীরা।

অধ্যাপক রব্বানী বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়গুলো আলোচনা করবো। এবং যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমাদের কর্ম পরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে।

এদিকে দুপুর ১২.৩০ মিনিটের সময় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার পরিদর্শনে আসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান।

পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে উপাচার্য বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা সবসময় দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করি। এখন স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য খোলা হলেও পর্যায়ক্রমে আমরা সকল শিক্ষার্থীদের জন্য গ্রন্থাগার খোলার প্রক্রিয়া চলছে। এবং সকল ধরনের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।সে কারণে আমরা অপেক্ষা করছি কখন আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে আমাদের মাঝে পাবো। আমরা শিক্ষকরা অস্বস্তিতে আছি শিক্ষার্থীরা না থাকাতে। আমরাও প্রত্যাশা করবো আমাদের শিক্ষার্থীরা টিকা কার্যক্রমে আসার পর আমরা আমাদের চলমান প্রক্রিয়া শেষ করতে পারবো। এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে আমাদের সকল শিক্ষার্থীকে আমাদের মাঝে পাবো।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর