গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে ২০১৫-২০১৬ স্নাতক চতুর্থ বর্ষের চূড়ান্ত ফল পরিবর্তনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা। ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ।
রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। দিনভর বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জের পর স্বাভাবিক হয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, সম্মান শ্রেণির অন্যান্য বর্ষের পরীক্ষায় ভালো ফল হলেও চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফলে তাদের এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। তাদের এমন ফল হতে পারে না।
শিক্ষার্থীরা জানায়, গত ২০ জুলাই ২০১৫-২০১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) চতুর্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। ওই ফলাফলে ২৮ শতাংশ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হন। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে আসছেন। ২৪ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে ওই ফলাফলের এক বিষয়ে অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে।
দাবি না মানা পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণার কথা জানান শিক্ষার্থীরা।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তাদের দিনভর বিক্ষোভ কর্মসূচির কারণে প্রক্টর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ তিন শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্যাম্পাসে আটকা পড়েন। আন্দোলনের খবরে সেখানে মোতায়েন করা হয় বিপুল পুলিশ সদস্য। তারা নানাভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। রাতেও শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসায় চড়াও হয় পুলিশ। লাঠিচার্জে দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। অনশন কর্মসূচি চলাকালে অসুস্থ পয়ে পড়েন তিনজন।
পরে রাত ৯টার কিছু পর তাদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা করে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। শিক্ষার্থীরা সরে গেলে ক্যাম্পস ত্যাগ করেন আটকে পড়া শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এর আগে একই দাবিতে গত ১১ ও ১৮ আগস্ট বিক্ষোভ করেছিলেন তারা।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, রোববার রাতে কিছু শিক্ষার্থী আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। পরে তাদের সেখান থেকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে লাঠিচার্জের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: