ট্রেনের টিকিট নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীকে কাঠ দিয়ে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হাসান জবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত দেলোয়ার (৫৮) রেলের এটেন্ডেন্স হিসেবে কর্মরত।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীতা এক্সপ্রেসে এই ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগী মামলা করতে ঢাকা রেলওয়ে থানায় উপস্থিত হলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার শর্তে বোঝাপড়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী ঐ শিক্ষার্থী বলেন, 'আমার 'সােনার বাংলার' টিকেট ছিলাে কিন্তু ট্রেন মিস করার কারণে আমি রাতের তূর্ণা নিশিতা ট্রেনে উঠি এবং পরে টিটি আসলে তার সাথে কথা বললে উনি আমাকে থাকার অনুমতি দেন৷ বগিতে একটা সিট খালি ছিলাে,আমি সেখানে বসি। পরে কুমিল্লার আগে ট্রেন থামলে উনি টাকা নিয়ে লােক বসাতে চান আমার সিটে। টিকেটের লােক কি আসছে, এইটা জিজ্ঞেস করাতে উনি গায়ে হাত দিয়ে দেয়। শার্টের কলার ধরে টানাটানি শুরু করে, আমি প্রতিবাদ করলে বাবা-মা তুলে গালাগালি শুরু করে। একপর্যায়ে উনি আমার কলার ধরে টানতে টানতে পুলিশের ডিউটি অফিসারের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে কথা বলার একপর্যায়ে কাঠ দিয়ে আমার পায়ে আঘাত করে। পরে পুলিশ তাকে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে থানায় নিয়ে আসে।'
ভুক্তভোগী বলেন, 'তবে আমার আঘাতটা গুরুতর ছিলো না। হালকা স্ক্রেচ থাকলেও এক্সরে স্বাভাবিক এসেছে। এছাড়াও থানায় আসার পর তিনি ক্ষমা চান, ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিকিৎসাখরচ দেওয়ার আশ্বাস দেন। উনি বয়স্ক মানুষ হওয়ায় মানবিক বিবেচনায় পরে মামলা করিনি। '
এবিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার ওসি মাজহারুল হক বলেন, 'ছেলেটা যেখানে বসে ছিলো, নতুন যাত্রী উঠলে তাকে উঠতে বললে কথা কাটাকাটি হয়। এটেন্ডেস অতিরঞ্জিত করেছে। উভয়পক্ষ থানায় এসেছিলো, সবাই আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা হয়েছে। উনি আবার বয়স্ক মানুষ, অনুতপ্ত হয়েছেন, ছেলের বয়সী হিসেবে সে ক্ষমাও চেয়েছে।'
এবিষয়ে জবির প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, 'ঘটনা জানার পর সংশ্লিষ্টদের সাথে আমি কথা বলেছি। ঐ লোক ক্ষমা চেয়েছে, মুচলেকা দিয়েছে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটাবে না। এছাড়াও সন্তান হিসেবে আমাদের চিকিৎসা দায়িত্ব নিবে বলে জানায় । উনার চাকরী আর বছর ২ আছে, বয়স্ক লোক বিবেচনায় ওরা আর মামলা করেনি।'
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: