ইসলামী বিশ্বাবিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন কর্তৃক সাইবার বুলিংয়ের ঘটনায় গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া কেউ স্বাক্ষ্য দিতে চাইলে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট দিনে তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করবে।
মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফারুক হোসেন কর্তৃক টেক্সট মেসেজে উত্যক্ত করার প্রতিকার চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ‘সাইবার বুলিং প্রতিকার’ কমিটি গঠন করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট অভিযোগ সম্পর্কে কারো কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকলে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে কমিটিকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হলো। অভিযোগের বিষয়ে কেউ স্বাক্ষ্য দিতে চাইলে তদন্ত কমিটি নির্দিষ্ট দিনে তার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করবে।
সাইবার বুলিং প্রতিকার কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন। অন্য সদস্যরা হলেন- মার্কেটিং বিভাগের সভাপতি এসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শাহ আলম কবির প্রামাণিক এবং সহকারী প্রক্টর ও অর্থনীতি বিভাগের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর শাহেদ আহমেদ।
উল্লেখ্য, ১১ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী হুমকির শিকার হলে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ ঘটনা গত ১৯ জুন ১৫ কার্যদিবস সময় দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: