এসআই হয়ে গেলো, বিসিএসে হয়ে গেলো এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না।বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে, বিশ্বমানের লেখাপড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। বিসিএস তো থাকবেই কিন্তু আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পিএইচডি করতে দেশের বাইরে গেলে এটা তো আমাদের জন্য এচিভমেন্ট।
সোমবার (১৪জুন) রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব আয়োজিত "গবেষণায় জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ" শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ এ কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. নূরে আলম আবদুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার পরিবেশ সত্যি কথা বলতে শিক্ষকদেরও নেই, গবেষকদের মূল্যায়ন করার প্রবনতা আমাদের মধ্যে নেই এটি একটি বড় কারণ। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া, পদোন্নতি প্রক্রিয়া সবক্ষেত্রেই গবেষণাকে অবহেলার জায়গায় রাখা হয়েছে। পাশের দেশ ভারত যেভাবে গবেষণায় এগিয়ে গিয়েছে আমরা সেভাবে এগোতে পারেনি। আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিএইচডির জন্য দেশের বাইরে যাচ্ছে। এসআই হয়ে গেলো, বিসিএসে হয়ে গেলো এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ না।বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হলো জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে, বিশ্বমানের লেখাপড়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তৈরি করা। বিসিএস তো থাকবেই কিন্তু আমাদের কোনো শিক্ষার্থী পিএইচডি করতে দেশের বাইরে গেলে এটা তো আমাদের জন্য এচিভমেন্ট। বিসিএস এর যে প্রশ্নপত্র দেখা যায় যারা ক্লাসের ভালো ছাত্র তারা সাধারণত ভালো করতে পারে না,তারা ক্লাসের পড়ায় এত ব্যাস্ত থাকে যে বিসএসের পড়ায় সময় দিতে পারে না।আমার মনে হয় বিসিএস এর প্রশ্নপত্র,পরীক্ষার ধরণে পরিবর্তন আনা উচিত।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক যদি ইনডেক্স জার্নালে গবেষণা প্রকাশ করতে পারে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রণোদনা দেয়ার সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রধান উদ্দেশ্য হওয়া উচিত গবেষণা।আর একটি কথা হলো গবেষণা করতে হবে কোয়ালিটি গবেষণা, গবেষণার সংখ্যা বাড়িয়ে লাভ নেই।গবেষণা হতে হবে কোয়ালিটি সম্পন্ন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: