জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আধুনিক মেডিকেল সেন্টারে সেবা নিতে এসে ঘুরে গিয়েছেন রোগীরা। দায়িত্বরত ডাক্তার মোঃ ফখরুল ইসলাম না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন শিক্ষার্থরা। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেবা না পেয়ে ফিরে গেছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনের নিচে অবস্থিত জবির আধুনিক মেডিকেল সেন্টার। তিনজন ডাক্তার প্রতিদিন একজন করে ডাক্তার দায়িত্ব পালন করেন। এই ধারাবাহিকতায় আজ দায়িত্ব পালন করার কথা ছিল মোঃ ফখরুল ইসলাম এর। কিন্ত তিনি ছুটি ছাড়াই মেডিকেল সেন্টারে আসেননি। উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তাকেও মৌখিক ভাবে জানাননি কিছুই। এমনকি মেডিকেল সেন্টারের কোন স্টাফই জানেন না তিনি কেন আসেননি? এদিকে সেবা নিতে এসে ফিরে গেছে বেশ কিছু শিক্ষার্থী।
সেবা নিতে এসে ডাক্তার না পেয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আমাদের এখানে নাকি সবসময় ডাক্তার থাকবে কিন্ত এখন ডাক্তার নেই। ডাক্তার থাকলে আজ আমাদের এমন ভোগান্তিতে পরতে হতো না।
কেন আসেনি এই ব্যাপারে মুঠোফোনে জানতে চাইলে মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, আমার ফোন নাম্বার আপনাকে কে দিয়েছে? এরপর তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আপনি কি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কতৃপক্ষ যে আপনাকে বলব আমি কেন আসিনি। তিনি আরো রাগান্বিত হয়ে বলেন, কেন আপনি আমার অবস্থা না জেনে এসব কথা জানতে চাবেন? তিনি আরো বলেন, আমাদের মেডিকেল অফিসার মিতা শবনমের সাথে কথা বলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, এর আগেও নানা বাহানায় তিনি ডিউটি ফাঁকি দেন। না প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষক বলেন, তিনি চেম্বারেই বেশি বসেন না। খাওয়া, নামাজসহ নানা বাহানায় ফাঁকি দেন তিনি।
এ বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ড.মিতা শবনম বলেন, আমাদের ডিউটি ভাগ করা ছিল কিন্তু সে আসেনি। আমি এখন কি করব? তিনি ছুটি নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে মিতা শবনম বলেন, না সে আমাকে কিছু জানায়নি। আমার সাথে দু’দিন তার ডিউটি ছিল সে কিছু জানায়নি এবং অফিসে আমি খোঁজ নিয়েছি সে কাউকে কিছু জানায়নি।
বিষয়টি নিয়ে জানতে রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার ওহিদুজ্জামান কে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, আমি ব্যাপারটা দেখব।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: