বাংলাদেশের অন্যতম সর্ববৃহৎ জেলা দিনাজপুর। দিনাজপুর প্রায় সকল কৃষি পণ্যের উৎপাদনের উপযোগী। তবে লিচুর জন্য দিনাজপুরের একক
আধিপত্য বিদ্যমান। দিনাজপুরের মাটিতেই উত্তরবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(হাবিপ্রবি) অবস্থান। এই মর্মে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লিচুর গাছ আছে। এই গাছগুলোর লিচু অত্যন্ত সুস্বাদু। গতবছর মার্চ মাস থেকে ক্যাম্পাস করোনা মহামারির জন্য ছুটি থাকায় শিক্ষার্থীরা দুই মৌসুমের
লিচু খেতে পারি নি। তবে ক্যাম্পাসের কাছের শিক্ষার্থী, আশেপাশের ছাত্রাবাসের অবস্থানকারী শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় কিছু মানুষ লিচু সংগ্রহ করেছে।
লিচুর এমন প্রাপ্যতা দেখে হাবিপ্রবিকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লিচুর রাজধানীও বলা চলে। লাল তপ্ত ইটের
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে লিচুর একক আধিপত্য।
তবে এই লিচুর স্বাদ প্রাপ্তিতে একটু পিছিয়েই ২০১৯-২০ ব্যাচ(২০ব্যাচের) নবীন শিক্ষার্থীরা। হাবিপ্রবিতে ভর্তি হবার পর অন্য ক্যাম্পাসের বন্ধুরা
দিনাজপুরের লিচুর জন্য আবদার করে। কিন্তু করোনা মহামারির ছুটি থাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থির
হাবিপ্রবি এবং দিনাজপুরের লিচুর স্বাদই গ্রহন করতে পারে নি। এতে করে অনেকের মধ্যে কিছুটা
আফসোসও দেখা দিয়েছে।
২০ ব্যাচের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের(ইইই) শিক্ষার্থী মোঃ আনসারুল ইসলাম বলেছেন, "আমার বাসা ময়মনসিংহ। এতদুর থেকে এখন ক্যাম্পাসে যাওয়া সম্ভব নাহ। তবে অনেক কিছুর অপ্রাপ্তির মধ্যে এই অপ্রাপ্তিটাও থেকেই গেল।
তবে সব কিছু স্বাভাবিক থাকলে সামনে পাব ইনশাল্লাহ । "
২০ ব্যাচের ফুড এন্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুলতানা অন্তু বলেছেন, "আমার বাসা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আমের রাজধানী হয়েও দিনাজপুরের লিচু আমাকে একটু টানছে। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় এবং লকডাউন থাকায় করোনা মহামারি
সচেতনতায় যেতে পারছি না "।
২০ ব্যাচের কৃষি অনুষদের শিক্ষার্থী জাকারিয়া জুয়েল বলেছেন, " দিনাজপুরের লিচুর স্বাদ পাওয়া
এবারও হলো না, তবে সামনে সব ঠিক হয়ে গেলে
পাব ইনশাল্লাহ। "
এছাড়াও ১৭,১৮,১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও ভিন্ন ভিন্ন
মতামত পোষন করেছেন।
১৯ ব্যাচের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মোঃআসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন, " সত্যিই ক্যাম্পাস মিস করছি,সাথে লিচু আর পড়াশোনাকেও "।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারীর জন্য গতবছরের মার্চ মাস থেকে আজ অবধি ক্যাম্পাস বন্ধ রয়েছে ।
আশা করা যায়, সবকিছু ঠিক হয়ে খুব শীঘ্রই ক্যাম্পাসে ফিরবে সবাই। পৃথিবী তাড়াতাড়ি সুস্থ হোক এই প্রত্যাশা।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: