বরগুনার আমতলীতে একটি মাদ্রাসায় বিচারের নামে ১০ ছাত্রীকে মারধর এবং ‘মলমূত্র খাইয়ে’ নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষক ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে।
আমতলী পৌরসভার মাদানীনগর জামিয়া সাইয়্যেদা ফাতিমা বালিকা হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক তাসলিমা বেগম, তার স্বামী আব্দুর রশিদ, ছেলে তাইয়েব ও মেয়ে নুসরাত এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবকরা।
ওই ঘটনায় তিন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ছাত্রীদের বয়স ১০ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। গত শনিবার (৩ জুন) এ ঘটনার পর বাড়ি গেলে তিনজন অসুস্থবোধ করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের পেটে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। অবস্থা খারাপ হওয়ায় সোমবার সকালে তাদের ডাক্তার দেখানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাদ্রাসার শিক্ষক তাসলিমা বেগমের স্বামী অভিযুক্ত মাওলানা আব্দুর রশিদ ১০ ছাত্রীকে ‘মলমূত্র’ খাওয়ানোর কথা স্বীকার করে বলেন, গত শুক্রবার রাতে মোবাইলে আমার (আব্দুর রশিদের) মেয়ে নুসরাতের ছবি তোলায় শনিবার তাদের বিচার করেছি এবং ওই ছাত্রীদের মাদ্রাসা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছি।
তবে নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রীরা বলছে, ছবি তোলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যে ও বানোয়াট।
এ ঘটনায় ছাত্রীদের অভিভাকরা গতকাল রোববার (৪ জুন) রাতে শিক্ষক তাসলিমা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
আমতলীর ইউএনও মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এ বিষয়ে বলেন, নোংরা এ ঘটনায় তদন্তসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলী হাসপাতালের চিকিৎসক কাঙ্ক্ষিতা মণ্ডল বলেন, সোমবার সকালে মাদ্রাসায় পড়ুয়া তিন ছাত্রীকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) রনজিৎ কুমার সরকার বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসটি/এসকে
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
জনপ্রিয় খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: