১১ মে অনলাইনেই পরীক্ষা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা স্ব স্ব বিভাগীয় প্রধান বরাবর ইমেইলের মাধ্যমে এই আবেদন পেশ করে।
শিক্ষার্থীদের থেকে জানা যায়, করোনা মহামারীর কারণে ২য় এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীদের স্ব স্ব শিক্ষাবর্ষের ১ম সেমিস্টারের ৫টি পরীক্ষা আটকে আছে। বিগত ৭ মাস যাবৎ অনলাইনে ক্লাস গ্রহণ করা হলেও ল্যাব এবং সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষাগুলো অনলাইনে নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় ২য় সেমিস্টারের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে তাদের ১০ টি পরীক্ষা বাকি থাকবে। ফলে আশংকা করছেন যে প্রায় ১ বছর ১ মাস পিছিয়ে থাকার পরেও সেশন জট আরো দীর্ঘায়িত হবে।
এইজন্য তাদের দাবি অনতিবিলম্বে অনলাইনেই আটকে থাকা ল্যাব ও পরীক্ষাগুলো গ্রহণ করা হোক।
উক্ত ৪ দফা দাবিতে রয়েছে -
১. দ্বিতীয় সেমিস্টারের ক্লাস করে যত দ্রুত সম্ভব ল্যাবগুলো অনলাইনে নেওয়ার ব্যবস্থা করা।
২. ল্যাব শেষ হওয়ার পর পর্যায়ক্রমে প্রথম সেমিস্টার ও দ্বিতীয় সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা গ্রহণ করা।
৩. একটি সুনির্দিষ্ট একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রদান করা।
৪. শর্ট টার্ম পরীক্ষা সম্পর্কে প্রশাসনের সুনজর।
দ্বিতীয় বর্ষের যন্ত্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী আশরাফ মাহমুদ রাইদ বলেন, " আমরা দীর্ঘ ১ বছরের ও বেশি সময় ক্যাম্পাস থেকে বাহিরে রয়েছি করোনার আক্রমণের ফলে। সাথে আটকে রয়েছে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পড়ালেখা। তবে পৃথিবী কিন্তু থেমে নেই এই দুর্যোগ এর মাঝেও। আমরা নিজেরা যথেষ্ট পরিমান সময় নিয়ে, অপেক্ষা করে দেখতে পারলাম যে, এভাবে শুধু অনলাইন ক্লাস করে থিউরি শেষ করলে আমরা আগাতে পারবো না। আমাদের ল্যাব, ভাইভা, সেমিস্টার ফাইনাল এগুলার বিষয়ে নজর দিতে হবে।"
শিক্ষার্থীদের দরখাস্ত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে পুরকৌশল বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল বলেন, "আমরা শিক্ষার্থীদের দরখাস্ত পেয়েছি। আগামী ১৭ তারিখ সকল বিভাগীয় প্রধানের সাথে উপাচার্য মহোদয়ের আলোচনা সভা হবে। এর পর পর্যায়ক্রমে আমরা সকল শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনা করবো। ততদিন আমি শিক্ষার্থীদেরকে পড়াশোনা ও তাদের সকল সহপাঠীদের সাথে কানেক্টেড থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।"
এছাড়া সকল শিক্ষার্থীকে তিনি সেফ থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, "শিক্ষার্থীদের যেকোনো ধরনের সমস্যায় আমরা আমাদের যথাসাধ্য সাপোর্ট দিবো।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: