রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতি ও জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৬ মে) মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব শামিমা বেগম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি গঠনের তথ্য জানানো হয়।
চার সদস্যের এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা ভেঙ্গে ১৩৭ জনকে অ্যাডহক ভিত্তিতে নিয়োগ দেন উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বৃহস্পতিবার তারা উপাচার্য ভবনে গিয়ে যোগদানপত্র জমা দেন।
এতে দেখা যায়, শিক্ষক পদে ৯ জন, কর্মকর্তা পদে ১৯ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে ৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পদে ২৪ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাঁরা সকলেই ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতা ও কর্মী। বুধবার (৫ মে) স্বাক্ষরিত নিয়োগ তালিকা থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার চাকরি নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ও মহানগর ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে মহানগর পুলিশ দ্রুত লাঠিচার্জ করে দু’পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। সংঘর্ষ ও পুলিশের লাঠিচার্জে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে পুলিশ পাহারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান ক্যাম্পাস ছেড়ে নগরীর চৌদ্দপাই এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটির নিজের বাসায় যান।
এর আগে গত ৫ মে তারিখে উপাচার্য শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী পদে ১৩৭ জনের নিয়োগপত্র ইস্যু করেন। উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান সাংবাদিকদের বলেন, ‘৬ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আমার নিয়োগ আছে। তার আগেই সরকারি বাড়ি ছেড়েছি। আমি পুলিশের পাহারা চাইনি, পুলিশ ইচ্ছা করেই আমাকে নিরাপত্তা দিয়েছে। তার সময়ে শত বিতর্কের পরও নিজেকে সফল দাবি করে তিনি বলেন, আমি মনে করি সফলভাবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছি। এই চেয়ারটি অনেক চ্যালেঞ্জের। সেই চ্যালেঞ্জ নিয়েই কাজ করতে হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ৭ মে দ্বিতীয় মেয়াদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে যোগদান করেন অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান। বৃহস্পতিবার (৬ মে) তার শেষ কার্যদিবস ছিল। শেষদিন বিভিন্ন পদে ১৩৭ জনকে এডহক নিয়োগ দিয়ে গেছেন তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: