আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ঋণ দেওয়ার সময়ে ৬টি শর্ত দিয়েছিলো। এরমধ্যে ২টি শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ। এরপরও ঋনের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ আমাদেরকে ঋণ দিতে ৬টি শর্ত দিয়েছিলেন। এর মধ্যে দুইটি শর্ত পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এরপরেও আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসতে পেরেছি। আগামী ১১ ডিসেম্বরে আইএমএফের বোর্ড মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। ঐ মিটিংয়ে ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি অনুমোদন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা সংস্থাটির শর্ত অনুযায়ী সুদহার বাড়িয়েছি। এছাড়া বিপিএম ৬ অনুযায়ী রিজার্ভ প্রকাশ সহ ৪টি শর্ত পূরণ করেছি। বাকি দুটো শর্ত পূরণ করতে পারি নি। রিজার্ভ ধরে রাখা ও রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হয়নি। এক্সচেঞ্জ রেট সময় আসলে বাজারভিত্তিক করা হবে বলে সংস্থাটিকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এছাড়াও তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি কমাতে ইতিমধ্যে সুদহার বাড়ানো হয়েছে। ট্রেজারি বিল ও বন্ডের সুদহার এখন ১০ শতাংশের উপর। আইএমএফের সঙ্গে নন-পারফর্মিং লোন ও মানিলন্ডারিং বিষয়ে গতানুগতিক ভাবে আলোচনা হয়েছে। বিএফআইইউ ও দুদক বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে। এটি সবসময় করা হয়। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোন সম্পর্ক নেই। ইতিমধ্যে আমরা চলতি হিসাব নিয়ে কাজ করেছি। মূল্যস্ফীতি কমাতে নেওয়া অন্যান্য পদক্ষেপ সম্পর্কেও আইএমএফকে জানানো হয়েছে।
এসময় রিজার্ভ নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, নিট রিজার্ভ সম্পর্কে আমি কিছু বুঝি না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব হিসাব সম্পর্কে বলতে পারবো। এছাড়া বিপিএম ৬ অনুযায়ী হিসাব প্রতি সপ্তাহে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: