জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে সারা দেশে পরিবহণ শ্রমিক এবং মালিকদের ধর্মঘট যথার্থ ও যৌক্তিক। কারণ কোনো ধরনের বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই হঠাৎ ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের শহিদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর এসব কথা বলেন।
নুর বলেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ার ফলে প্রোডাকশন থেকে শুরু করে পণ্য সরবরাহসহ জনজীবনে এর প্রভাব পড়েছে। সেই সঙ্গে গণমানুষের জীবনযাত্রার মানে একটা পরিবর্তন আসবে। ‘এমনিতেই দীর্ঘদিন ধরে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম ঊর্ধ্বগতি। এ জন্য জনজীবনে এক ধরনের অস্বস্তিবোধ করে আসছে। এর পর ডিজেল ও কেরোসিনের অতিরিক্ত দামের প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে।’
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দ্রুত নির্ধারিত ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রত্যাহার করতে হবে। আর এসব পণ্যের দাম সার্বিক বিবেচনা করে লিটারে ২-৩ টাকা বাড়াতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে সমন্বয় করে করতে হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: