নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট সীমানা দিয়ে চলাচলের অনভিজ্ঞতা থেকেই বারবার পদ্মা সেতুর পিলারের গার্ডারে ধাক্কা খাচ্ছে ফেরি।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদীর পাড় বা অংশ দখল করে নির্মিত ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান হঠাৎ বন্ধের নির্দেশ দিলে ব্যবসায়ী ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এসব প্রতিষ্ঠানকে দখল সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় দেওয়া হচ্ছে। দেখা যাচ্ছে কেউ জমি কিনে বাসা-বাড়ি তুলে ফেলেছে। এখন যে ব্যক্তি টাকা খরচ করে বাড়ি করেছেন তার তো দোষ নেই। তাছাড়া অনেক ভারি শিল্প-কারখানা রয়েছে নদীর পাড়ে। সেগুলো সরাতে সময় লাগবে। সেজন্য তাদের কিছুটা ছাড় দিয়ে আমরা সীমানা নির্ধারণ করে দিয়েছি যেন তারা আস্তে ধীরে কারখানা স্থানান্তর করেন।
তিনি বলেন, দিনের পর দিন দখল হয়ে যাওয়া নদ-নদীর তীরের জমি উদ্ধার করছে সরকার। ২০০৯ সাল থেকে এই কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে গিয়ে বিভিন্ন বেগ পেতে হয়েছে এবং চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বিভিন্ন মামলার কারণে এখনও এ উদ্যোগ শতভাগ বাস্তবায়ন করা যায়নি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যমুনা অর্থনৈতিক করিডোর করব। তার সমীক্ষা শিগগিরই শুরু হবে। এটা করতে পারলে নদ-নদী ভাঙন কমে আসবে। দুই ভাগে এটি বাস্তবায়ন হবে। এই উদ্যোগে জমি সংগ্রহ করে একটি সিটি গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি জানান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: