ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে দেওয়া থাকবে। মূল্য তালিকা থেকে বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে দোকান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন ডিএনসিসি মেয়র।
আজ বুধবার (২২ মার্চ) গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে আসন্ন রমজান মাসে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য স্থিতিশীল রাখা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা এবং বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডিএনসিসির সব বাজারে নজরদারি আরও জোরদার করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামকে আহ্বায়ক করে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে একটি বাজার মনিটরিং কমিটি করা হবে। রমজান মাসজুড়ে এই কমিটি বাজারগুলো মনিটরিং করবে। আমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে সহযোগিতা চাই। আপনারা দয়া করে ভেজালমুক্ত, সঠিক ওজন ও টাটকা পণ্য সরবরাহ করবেন।
সভায় মেয়র বলেন, বিশ্বের সব দেশে দেখেছি অন্য সময়ের তুলনায় বিভিন্ন উৎসবে বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসবের সময় পণ্যদ্রব্যের দাম কমে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে দেখা যায় উল্টো চিত্র। এ বছর রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যের অহেতুক দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মেয়র বলেন, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনসাধারণের অবগতির জন্য ডিএনসিসির সাতটি মার্কেটে মূল্য তালিকাসহ প্রতিটি ১০.৬ ফুট সাইজের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড স্থাপন করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি দোকানে প্রকাশ্যে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখতে হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ভোক্তারা যেন অভিযোগ জানাতে পারে সেজন্য ডিসপ্লে বোর্ডে মোবাইল নম্বর প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র। ওই সময় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি ভোক্তাদেরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় ডিএনসিসির বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা ভেজালমুক্ত পণ্য বিক্রি ও দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতিশ্রুতি দেন। এ ছাড়া কমিটির পক্ষ থেকেও দ্রব্যমূল্য ও বাজারের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়মিত মনিটরিং করা হবে বলে জানান তারা।
ডিএনসিসির সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন—ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহ. আমিরুল ইসলাম, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আ ন ম তরিকুল ইসলাম, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান নূর ইসলামসহ অনেকে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: