পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীদেরকে দেশ ও জাতির শত্রু আখ্যা দিয়ে আজ ২৫ জুন শনিবার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঘৃণা প্রদর্শন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এর সঞ্চালনায় উক্ত কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। আরোও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনেট মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম মাহিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মাকসুদ হাওলাদার, মুহাম্মদ নুর আলম সরদার, শাহীন মাতুব্বর, আনছার আলী, নুরুজ্জামান তুহিন, বাসির উদ্দিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ উদ্দিন স্বাধীন, ঢাকা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মুরাদ ও বাবলি ইয়াসমিনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ঘৃণা প্রদর্শন কর্মসূচী শেষে বক্তব্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বলেন, "বাঙ্গালি জাতির দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। ড. ইউনুস, খালেদা জিয়া, তারেক, রিজভী, ফখরুল, মান্না, বদিউল আলম মজুমদার গংরা শুরু থেকেই স্বপ্নের পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে গভীর ষড়যন্ত্র করেছে। এরা কখনোই এদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা সহ্য করতে পারে না। এরা বাংলাদেশের উন্নয়নের শত্রু। গরীবের রক্তচোষা সুদখোর ইউনুস হিলারী ক্লিনটনকে দিয়ে তদবির করে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার অসীম সাহস ও দৃঢ়চেতা মনোভাবের কারণেই দেশীয় অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে। ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন পৃথিবীর ইতিহাসে একটি অনন্য মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এখন দেশরত্ন থেকে বিশ্বরত্নে পরিণত হয়েছেন। পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারী দেশের শত্রুদেরকে আজ জাতি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ ভাবে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির দোসরকে অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। পদ্মা সেতু বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তাদের প্রত্যেককে জাতির সামনে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় এদেশের জনগণ এসব দেশবিরোধী অপশক্তিকে সামাজিকভাবে বয়কট করবে।"
সংগঠনের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, "আজ পুরো বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছে। পদ্মা সেতু পুরো বিশ্বের সামনে বাংলাদেশকে আরেকবার চিনিয়ে দিলো। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। পদ্মা সেতুর বিরোধিতাকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। এদেরকে ঘৃণা প্রদর্শন করা প্রতিটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের নৈতিক কর্তব্য। তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনসহ যারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিল তাদের প্রত্যেককে উপযুক্ত সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। ইউনুস-তারেক গংরা প্রতিনিয়ত এদেশের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র করছে। স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তিদের রাষ্ট্র বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিবে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ।"
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: