সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ও তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জাহানারা এহসানের লাইসেন্স করা তিনটি অস্ত্র গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় জমা দেওয়া হয়েছে।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম আলী মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে একজন এসে গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল ও দুটি শটগান জমা দিয়ে যান।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী শারীরিক-মানসিক নির্যাতন, মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগ করে ধানমন্ডি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর আগে স্বামীর নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকি পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অস্ত্রগুলো জমা দেওয়া হয়েছে।
ওসি বলেন, লাইসেন্স করা অস্ত্র যে কেউ যেকোনো সময় থানায় জমা রাখতে পারেন।
জিডির তদন্তের অগ্রগতি প্রসঙ্গে ওসি বলেন, জিডির তদন্তের অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আদালত থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমান সম্পর্কে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে গত নভেম্বরের শেষের দিকে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হন মুরাদ হাসান। তখন তিনি তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। ওই বিতর্ক-সমালোচনার মধ্যেই ফেসবুকসহ বিভিন্ন যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর ফোনালাপের আরেকটি অডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে একজন চিত্রনায়িকার সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন, একই সঙ্গে তাঁকে হুমকিও দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপর গত ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। দলীয় পদও কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর। পরে ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন মুরাদ। কিন্তু কানাডায় ঢুকতে না পেরে দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন তিনি। এরপর আর প্রকাশ্যে আসেননি জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সাংসদ মুরাদ হাসান।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: