প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার ঢাকা দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেওয়া হয়। গিয়াস উদ্দিন অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত বছরের ২ নভেম্বর মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুদকে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন তিনি। অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণী যাচাই করে মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনের নামে ১৫ কোটি ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৯ টাকার স্থাবর ও ৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ৩১৮ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ মোট ২০ কোটি ৯৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
এজাহার থেকে আরও জানা যায়, ২০০৮-০৯ করবর্ষ থেকে ২০২১-২২ করবর্ষে পারিবারিক ও অন্যান্য খাতে গিয়াস উদ্দিনের ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯০ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ের তথ্য পায় দুদক। এসব ব্যয়ের বিপরীতে বিভিন্ন সময়ে সঞ্চয় হিসাবে ৬ কোটি ৮১ লাখ ২২ হাজার ৮৫৬ টাকা, গৃহ সম্পত্তি থেকে আয়ের ২ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৪৫০ টাকা, বাবার কাছ থেকে হেবা মূল্যে প্রাপ্ত ১১ শতাংশ জমিসহ ৭ কোটি টাকার দালান, ৪ লাখ ৩২ হাজার টাকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ মোট ১৭ কোটি ৬৮ লাখ ৮৪ হাজার ৭৩৭ টাকার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য উৎস পাওয়া গেছে।
গিয়াস উদ্দিনের আয়কর নথি অনুযায়ী, কাসসাফ শপিং সেন্টার-০১ নির্মাণে ব্যয় প্রদর্শনকালে ২০২১-২২ করবর্ষে মার্কেটের ৮০২ বর্গমিটার নির্মাণে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৩১ টাকা বিনিয়োগের বিষয়ে বৈধ উৎস পায়নি দুদক। এই বিনিয়োগ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ হিসেবে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়েছে। তাই দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: