অর্থ পাচার আইনে করা মামলায় অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি টোয়েন্টিফোর টিকেট ডটকম এর পরিচালক এম মিজানুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এম মিজানুর রহমান সোহেল দৈনিক যুগান্তরের অনলাইন ইনচার্জ।
কাফরুল থানায় সিআইডির দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় রবিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান।
সিআইডি জানায়, বিমানের টিকেট বিক্রির নামে ৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয় ই–কর্মাস কোম্পানি ‘টোয়েন্টিফোর টিকেট ডটকম’। গ্রাহক ও ৬৭টি এজেন্টের কাছ থেকে এই টাকা আত্মসাৎ করেছে তারা। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সিআইডি কাফরুল থানায় কোম্পানির মালিক আব্দুর রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। গত ৫ সেপ্টেম্বর কোম্পানির আরেক পরিচালক রাকিবুল হাসানকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।
সিআইডি আরও জানায়, সাধারণত এয়ারলাইন্সগুলো টিকেটের নির্ধারিত মূল্যে ৭ শতাংশ ছাড় দিয়ে থাকে। সেখানে ‘২৪টিকেট ডটকম’ ছাড় দিত ১২ শতাংশ। এই ছাড়ের কারণে অনেক এজেন্ট তাদের কাছ থেকে টিকেট কিনে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করতো। তাদের টিকেট নিয়ে গ্রাহক বিমানবন্দরে এসে জানতে পারেন, সেই টিকেট বিক্রি হয়নি।
সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে টোয়েন্টিফোর টিকেট’র বিরুদ্ধে ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৩৬ হাজার ৩২৪ টাকা মানিলন্ডারিং করে আত্মসাতের তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলার তদন্ত চলছে। তারা কীভাবে ও কোথায় মানি লন্ডারিং করেছে তা জানার চেষ্টা চলছে।’
মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, প্রতারণা মামলায় ইতোমধ্যে তানভীর নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কম দামের অফার দিয়ে ইস্ট ওয়েস্ট, আল রাজি, টেলন, সানজার এভিয়েশন ইত্যাদির মাধ্যমে টিকেট কিনতো টোয়েন্টিফোর টিকেট। এর কর্মকর্তারা লাপাত্তা হওয়ার খবর জানতে পেরে ওইসব প্রতিষ্ঠান যাত্রীদের সব টিকিট রিফান্ড করে দিয়েছে। তারা টোয়েন্টিফোর টিকেট’র কাছে কয়েক কোটি টাকা পাওনা রয়েছে বলে একটি প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সিআইডি’র তথ্যানুযায়ী, টোয়েন্টিফোর টিকেট’র চেয়ারম্যান নাসরিন সুলতানা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুর রাজ্জাক সম্পর্কে ভাইবোন। তাদের গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানাধীন হাসাদাহ বাজার এলাকায়। ভাইবোনের প্রতারকচক্রের সঙ্গে পরিচালক হিসেবে এম মিজানুর রহমান সোহেল নামের একজন সাংবাদিকসহ সিলেটের বাসিন্দা প্রদ্যোত বরণ চৌধুরী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসাদুল ইসলাম জড়িত।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: