ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গ্রেপ্তারের পর হাজার হাজার গ্রাহক, সেলারের পাওনা টাকা ও পণ্য এবং কর্মীর বকেয়া বেতন নিয়ে উৎকণ্ঠার মধ্যে আবারও বন্ধ হলো প্রতিষ্ঠানটির অফিস।
শনিবার ধানমন্ডির ১৪ নং সড়কে ইভ্যালির অফিসে গিয়ে দেখা যায় ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় অফিসের প্রবেশমুখে তালা ঝুলছে। সেখানে কর্তৃপক্ষ একটি নোটিশ টানিয়েছেন।
নোটিশে লেখা আছে, 'তদন্ত শেষে অনুমতি সাপেক্ষে অফিস খোলা হইবে- কর্তৃপক্ষ।'
বরাবরের মতো শনিবারও পাওনা পণ্য ও টাকার জন্য অফিসে গ্রাহকদের ভিড় করতে দেখা গেছে।
সেখানে উপস্থিত গ্রাহক মাসুদ পারভেজ জানান, তিনি পেশায় একজন ড্রাইভার। গত জানুয়ারিতে ১ লাখ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে তিনি একটি বাইক অর্ডার করেছিলেন। বাইকটি তিন মাসের মধ্যে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, আজ পর্যন্ত তিনি বাইক পাননি। পরে রিফান্ড দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও সেটা এখনো পাননি।
এমডি এবং চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, ইভ্যালির গ্রাহক সংখ্যা ৪৪ লাখেরও বেশি। ইভ্যালি বিভিন্ন লোভনীয় অফারের মাধ্যমে স্বল্প সময়ে এত সংখ্যক গ্রাহক সৃষ্টি করেছে।
র্যাব জানায়, প্রতিষ্ঠানটির দায়ের সর্বমোট পরিমাণ ১০০০ কোটি টাকার বেশি। কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে লোকসানি কোম্পানি, কোনো ব্যবসায়িক লাভ করতে পারেনি। গ্রাহকের অর্থ দিয়েই যাবতীয় ব্যয় ও খরচ নির্বাহ করা হতো। ফলে দেনা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির এমডি ও সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন গত বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের ৩ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: