দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মা-ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার রংপুর সিআইডির এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) আতাউর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বরখাস্তের নির্দেশনা মৌখিকভাবে এসেছে। কাগজ হাতে পেলেই তা কার্যকর করা হবে। আর সহকারী পুলিশ সুপার সারোয়ার কবিরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
অপহরণের ঘটনায় করা মামলায় রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক ছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বহনকারী গাড়ির চালক মো. হাবিব ও মো. পলাশ নামের আরেকজনকে।
অপহরণের মামলার বাদী খলিলুর রহমান বলেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় তার ভাই লুৎফর স্থানীয় বাজারে যান। সে সময় বাড়িতে ছিলেন লুৎফরের স্ত্রী, ছেলে ও ছেলের বউ।
বাদীর অভিযোগ, সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবিরের নেতৃত্বে একটি দল রাত সাড়ে ৯টায় ওই বাড়িতে যায়। তারা লুৎফরকে আটক করতে এসেছে বলে জানায়। লুৎফরকে না পেয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। ঘরে থাকা টাকা ও স্বর্ণালংকারও তারা লুট করে। এরপর লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে মো. জাহাঙ্গীরকে মারধর করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়।
লুৎফরের ভাগনে শামসুল আলম মানিক জানান, ঘটনার পর থেকে লুৎফরকেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে তাদের মোবাইল নম্বরে দফায় দফায় ফোন করে বলা হয়, জহুরা ও জাহাঙ্গীরকে মুক্তির বিনিময়ে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে।
বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানান মানিক ও খলিলুর। এরপর থানা পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে মুক্তিপণের টাকা নিতে অপহরণকারীদের মঙ্গলবার বিকেলে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাঁশেরহাটে আসতে বলা হয়।
অপহরণকারীরা মঙ্গলবার বাঁশেরহাট এলে চিরিরবন্দর থানার পুলিশ তাদের আটক করে। উদ্ধার করা হয় জহুরা ও তার ছেলে জাহাঙ্গীরকেও। তবে এখনও লুৎফরের হদিস মেলেনি।
রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর বলেন, সিআইডির এই সদস্যরা ২১ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। এ সময়ে তাদের কোনো অভিযোগ তদন্তে দিনাজপুর যাওয়ার কথা না। অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে সেখানে তারা গিয়েছিলেন। কেন তারা এ কাজ করেছেন তা আমি জানি না। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: