আলোচিত দর্জি মনিরকে খুঁজছে র্যাব। প্রধানমন্ত্রীর সাথে এডিট করা ছবি দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে তাকে আটক করা হতে পারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ চাকরীজীবী লীগ নামে সংগঠন খুলে বিতর্কের জন্য আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান। হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিষয় নিয়ে এখন দেশব্যাপী আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে। এদিকে বাংলাদেশ চাকরীজীবী লীগের মতই আরেকটি ভুঁইফোঁড় সংগঠন ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ'র সভাপতি মো. মনির খান ওরফে দর্জি মনিরকে গ্রেপ্তার করতে মাঠে নেমেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-র্যাব। র্যাবের একটি বিশ্বস্ত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বলে দাবি করে আসা ভুঁইফোড় এই সংগঠন এবং দর্জি থেকে হটাৎ করে মনিরের নেতা হওয়ার নেপথ্য নিয়ে সময় ট্রিবিউনের করা সংবাদ প্রকাশের পর আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী ফোরামে বিষয়টি আলোচনা হয়। এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ আওয়ামীলীগের নীতি নির্ধারণী ব্যক্তিরা। এরপর আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড থেকে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে অনুমোদনহীন এই ভুঁইফোড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা দর্জি মনিরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা হয়।
দর্জি মনির অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে নিজের ছবি জুড়ে দিয়ে মানুষকে বোকা বানাতে জুড়ি নেই তার। একসময় আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের সামনে এক দর্জির দোকানে কাজ করতেন মনির। এলাকাতে দর্জি মনির নামেই চেনেন সবাই।
এদিকে দর্জি মনিরকে নিয়ে সময় ট্রিবিউনের সংবাদ প্রকাশের পর অন্যান্য গণমাধ্যমেও ভুঁইফোড় এই সংগঠন ও মনিরের অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এরপর থেকেই নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাই নিজেকে কৌশলী পরিচয় দিতে আগামীকাল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন দর্জি মনির।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে র্যাবের ওই সূত্রটি জানায়, দর্জি মনির আগামীকাল দুটি জায়গায় সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জায়গা নির্ধারণ করেছেন। তবে দর্জি মনির যেখানেই সংবাদ সম্মেলন করুক সেখান থেকেই তাঁকে আটক করা হতে পারে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দর্জি মনিরের যেসব ছবি ভাইরাল হয়েছে সেগুলোর সবই ভুয়া। বিশেষ সফটওয়ারের মাধ্যমে সেগুলো এডিট করে বিভিন্ন মহলে প্রভাব বিস্তার করতেই এই পন্থা অবলম্বন করেন মনির।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: